সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের বাজেটবিষয়ক আলোচনায় হোসেন জিল্লুর রহমান

অলিগার্ক গোষ্ঠীর কথা শুনেছেন অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘এবার বাজেট প্রণয়নে অর্থমন্ত্রী অলিগার্ক গোষ্ঠীর কথা শুনেছেন, যারা ক্ষমতার প্রশ্রয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন। এ গোষ্ঠীর কথা চিন্তা করেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। আবার এ বিশেষ শ্রেণীর কথা চিন্তা করে অর্থনৈতিক সংস্কার কিংবা ব্যাংক খাত নিয়ে তেমন আলোচনা করা হয়নি।’ 

গতকাল রাজধানীতে নিউজপেপার ওনারস’ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নে অর্থমন্ত্রী তিন বড় অ্যাক্টরের কথা শুনেছেন। একটি হচ্ছে আইএমএফ। আইএমএফের কথা শুনেছেন দুটি ক্ষেত্রে—বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী বাজেট করা যাবে না এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতিও থাকতে হবে।’

হোসেন জিল্লুর রহমানের মতে, দ্বিতীয় অ্যাক্টর হলো অলিগার্ক গোষ্ঠী। তিনি বলেন, ‘এ গোষ্ঠী  ক্ষমতার প্রশ্রয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। বাজেটে ব্যাংক খাতের সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। তৃতীয়ত, মনে হচ্ছে অর্থমন্ত্রী আমলাদের কথা শুনেছেন, তাদের সুযোগ-সুবিধার যেন কমতি না হয়। পরিশ্রমী উদ্যোক্তা ও পরিশ্রমী কর্মী—দুই শ্রেণীর কথা অর্থমন্ত্রী শোনেননি।’

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য কাগুজে ছাড়া আর কিছু নয়। মূল্যস্ফীতি কমানোর কোনো কৌশল নেই। কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়ও বাজেটে বিশ্বাসযোগ্য কর্মকৌশল নেই। নৈতিকতার সংকট তৈরি হয়েছে। সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ স্তরের আয়কর দিতে হবে। অথচ কালো টাকার মালিকরা ১৫ শতাংশ দিয়ে সাদা করতে পারবেন। এটা সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করা।’

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব গত বছর পর্যন্ত অর্থনৈতিক সংকটের কথা স্বীকারই করেননি। ধাক্কা খাওয়ার পর এখন কিছুটা সমস্যার কথা বলছেন। দুর্নীতি এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। সার্বিক নৈতিকতার ব্যাপক অধঃপতন হয়েছে। নৈতিকতা ফিরিয়ে আনতে না পারলে সংকট আরো গভীর হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন