টেকসই উন্নয়ন

পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ কি যথেষ্ট

ড. মো. ইকবাল সরোয়ার

ছবি : বণিক বার্তা

৬ জুন ২০২৪ বৃহস্পতিবার ‘‌টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’ শিরোনামে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ওই বাজেট পর্যালোচনা করে লক্ষ করা যায়, বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় এবারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় বিভাগে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, প্রায় ১৭ লাখ জনসংখ্যার বাংলাদেশে এ বরাদ্দ কতটুকু কাজে আসবে তা আলোচনার দাবি রাখে। যেকোনো অঞ্চলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য চাই সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ। আমাদের সামগ্রিক জীবনের ওপর পরিবেশের প্রভাব অপরিসীম। বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের অবক্ষয় সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত একটি বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, বন্যা, দুর্যোগ, বন উজাড়, নদীভাঙনের মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী কোনো না কোনো অঞ্চল পরিবেশ বিপর্যের সম্মুখীন। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজন ও চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে; মূলত ব্যাপক জনঘনত্ব ও ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ বাড়ছে, ফলে দেশব্যাপী পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেমন গাছপালা কর্তন, মাটি উত্তোলন ও পাহাড় কাটা, গভীর নলকূপের মাধ্যমে মাটির নিচ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন, অতিরিক্ত সেচকাজ ইত্যাদি দেশের পরিবেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিপর্যয় থেকে উত্তরণের জন্য এবারের বাজেটে বরাদ্দ অর্থ কতটুকু কাজে লাগবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে পরিবেশ রক্ষায় এবারের বরাদ্দ (২১৩১ কোটি টাকা) গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) তুলনায় ৬০ কোটি টাকা বেশি। পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের বাজেট বরাদ্দ কয়েক অর্থবছর ধরে ক্রমবর্ধমান, যেমন এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৭ কোটি টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ২২৩ কোটি, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের পর বরাদ্দ বেড়ে হয়েছিল ২ হাজার ৭১ কোটি টাকা। 

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত একটি বিষয়। ভৌগোলিক অবস্থান, ভূপ্রকৃতি এবং কিছু প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদাপন্ন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশের আবহাওয়া সাম্প্রতিক সময়ে দ্রুত হারে তার স্বাভাবিক রূপ পরিবর্তন করছে এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের ফলে বাড়ছে তাপমাত্রা। ১৮৫০ থেকে ১৯০০ সালের তাপমাত্রার সঙ্গে বর্তমান তাপমাত্রার তুলনা করলে দেখা যায়, গড়ে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি বেড়েছে। গত ২৩ এপ্রিল ২০২৪ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ‘‌স্টেট অব দ্য ক্লাইমেট ইন এশিয়া’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে, বিশ্বব্যাপী গড় উষ্ণতার চেয়ে দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে এশিয়ার দেশগুলো। ওই রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সালের গড় তাপমাত্রার চেয়ে শুধু ২০২৩ সালেই এশিয়ার উষ্ণতা বেড়েছে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিকূল এ পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়াতে বিপর্যস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। নিয়মিত ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, সাম্প্রতিক তাপদাহ, বজ্রপাত, খরা ইত্যাদি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকট হচ্ছে পরিবেশগত হুমকি। এসব হুমকি, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, প্রাণ-প্রকৃতির সুরক্ষা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ। পবিবেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রকৃত পক্ষে অনেকগুলো সেক্টরকে সমন্বিত করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা মাফিক পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। কারণ পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান, যেমন বায়ু, পানি, মাটি, ও জীবমণ্ডল প্রতিটি একটির সঙ্গে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত। পরিবেশের একটি উপাদান আক্রান্ত হলে এর প্রভাব পড়বে অন্যান্য উপাদানের ওপর। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বিক পরিবেশের সঙ্গে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় ও দপ্তর জড়িত। সুতরাং পরিবেশের সামগ্রিক সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, যেমন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দও পরিবেশ খাতের দিক বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনায় যেসব খাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দের বিবরণ দিয়েছেন তারমধ্যে বেশ কিছু খাত রয়েছে, যেগুলো পরিবেশ সুরক্ষার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। যদিও এবারের বাজেটে খাদ্যনিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট বিবেচনা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামাজিক নিরাপত্তাঝুঁকিতে রয়েছে এমন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার বিষয়গুলো বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাজেটে ১৪টি খাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনার মধ্যে কৃষি, খাদ্যনিরাপত্তা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য নিরসন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং আবাসন ও নগরায়ণ খাতগুলো বাংলাদেশের পরিবেশ সুরক্ষার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। 

বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে জলবায়ু পরির্তনজনিত প্রভাব ও বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলা করে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে বাজেট উপস্থাপনায় উল্লেখ করা হয়। সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। অষ্টম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে খাদ্য সংরক্ষণ ক্ষমতা ৩৭ লাখ টনে উন্নীত করার লক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টিপাতের তারতম্য, বন্যা, তাপপ্রবাহ ইত্যাদি দুর্যোগ সংক্রান্ত ইভেন্ট কতটুকু ব্যবস্থাপনা করা যায় তার ওপর নির্ভর করবে খাদ্যনিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়ন ধারা। পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো পানি এবং দূষণমুক্ত, পর্যাপ্ত সুপেয় পানি সরবরাহ এবং সুনীল অর্থনীতির বিকাশের ওপর পরিবেশের মানমাত্রা অনেকাংশে নির্ভর করে। বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সুনীল অর্থনীতির বিকাশে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা-২০২২, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় পানিসম্পদের যথাযথ ও সুচিন্তিত ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের পানিসম্পদের দক্ষ ও টেকসই ব্যবস্থার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদীভাঙন রোধ, ড্রেজিং, সেচ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও ভূমি পুনরুদ্ধার ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। বাজেট উপস্থাপনায় বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-এর আওতায় ৬৮টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৬৪ জেলায় প্রায় ৫ হাজার ২৬২ কিমি নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন করা হচ্ছে এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার হেক্টর এলাকায় জলাবদ্ধতা, বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঝুঁকি থেকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে বলে তাতে উল্লেখ করা হয়। 

বাংলাদেশ সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাস উপযোগী পৃথিবী গড়া এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব ব্যবস্থাপনায় বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে Bangladesh Climate Change Strategy and Action Plan (BCCSAP) প্রণয়ন করে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড পরিচালনার জন্য ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৯৬৯টি প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ দেশে প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ, যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, দাবদাহ ইত্যাদির প্রকোপ বেড়ে চলেছে। সেজন্য জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় বাজেটে আরো অতিরিক্ত অর্থ বাড়ালে এসব দুর্যোগে আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ ও সম্পদহানির কিছুটা উপকৃত হতো। বাজেট উপস্থাপনায় অর্থমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের গভীরতা ও ব্যাপ্তি বিবেচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রভাব হ্রাস সংক্রান্ত কার্যক্রমকে আরো কার্যকরী করার লক্ষ্যে ২০২৪-২৫-এর বাজেটে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। এটি অবশ্যই সাদুবাদ পাওয়ার মতো একটি উদ্যোগ, কিন্তু লক্ষ রাখা উচিত সরকারের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাকৃতিক সম্পদের ও পরিবেশের যে ক্ষতি হচ্ছে তা যেন টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত না করে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় ছাড়াও পরিবেশ সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়েরও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ প্রয়োজন।

বাংলাদেশ দুর্যোগে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বিশ্বব্যাপী রোল মডেল হলেও প্রতি বছরই বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এ দেশের উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যাহত করছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘূর্ণিঝড়ে ১৮ জনের মৃত্যু ছাড়াও প্রায় ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। ধারণা করা হয়, ২০ জেলায় প্রায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ক্ষতি হয়। এবারের বাজেটে এজন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো উপকৃত হতো। বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। কারণ দূষণ, দখল, দুর্যোগ, দাবানল, শিকার ইত্যাদির কারণে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির সম্মুখীন। সুন্দরবনসহ সারা দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। যেমন এবার রেমালের প্রভাবে প্রায় ১২৬টি হরিণসহ অনেক প্রাণী মারা যায় এবং পানিতে ভেসে যায় যথাযথ জায়গায় আশ্রয়ের অভাবে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ নগরে বাস করে। পরিকল্পিত নগরায়ণ ও নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ সেবা সহজলভ্য করার জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়, যা ইতিবাচক একটি দিক। প্রধান নগরগুলোর বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্ল্যান, স্ট্রাকচার প্ল্যান ও ডিটেল এরিয়া প্ল্যান প্রণয়ন করছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার জন্য ২০২২-৩৫ মেয়াদে ড্যাপ বাস্তবায়ন ছাড়াও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টার প্ল্যান (২০২০-৪১), খুলনা মহানগরীর জন্য ড্যাপ ছাড়াও স্ট্রাকচার ও মাস্টার প্ল্যান এবং পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জন্য ড্যাপসহ বিভিন্ন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে বাংলাদেশের সমগ্র নগর এলাকাগুলোর জন্য পরিকল্পিত নগরায়ণ ও নগরনীতি বাস্তবায়ন এখন সময়ের অন্যতম দাবি। 

ড. মো. ইকবাল সরোয়ার: অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন