২০২৩ সালে ইস্পাতের বৈশ্বিক রফতানি বেড়েছে সাড়ে ৬%

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৮৯ কোটি টন ছবি: রয়টার্স

ইস্পাত পণ্যের বৈশ্বিক রফতানি ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। বছরজুড়ে চীনই ছিল বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ও রফতানিকারক। ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএসএ) গত ৬ জুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে ৪০ কোটি ২৮ লাখ টন ইস্পাত পণ্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইস্পাতের ইনগট, আধা পরিশোধিত ইস্পাত, হট-রোলড ও কোল্ড-ফিনিশড ইস্পাত, টিউব ও তারসহ অন্যান্য পণ্য। 

২০২৩ সালে ইস্পাত পণ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে হট-রোল্ড শিট ও কয়েল। আগের বছরের তুলনায় এসব পণ্যের বৈশ্বিক রফতানি ১১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৭ কোটি ৫৬ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ইনগট ও আধা পরিশোধিত ইস্পাত রফতানি হয়েছে ৫ কোটি ৩২ লাখ টন, যা আগের বছরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। 

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমিডিটি ইনসাইটের তথ্যমতে, জুনে উত্তর ইউরোপে পরিবহন ব্যয় বাদ দিয়ে স্থানীয় হট-রোল্ড কয়েল টনপ্রতি ৬৩০ ইউরোয় বিক্রি হয়েছে, যা এ বছরের শুরুর দিকের তুলনায় ৮ দশমিক ৭ শতাংশ কম। 

২০২৩ সালে গ্যালভানাইজ ইস্পাতের বৈশ্বিক রফতানির পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ১০ লাখ টন, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। একই বছর ইস্পাতের টিউব ও ফিটিংস রফতানি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ও ইস্পাত প্লেটের রফতানি ৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৩ কোটি ৫২ লাখ টনে পৌঁছায়। তবে কোল্ড-রোল্ড শিট ও কয়েলের রফতানি ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৩ কোটি ৩ লাখ টনে নেমে যায়। 

ওয়ার্ল্ড স্টিলের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয় ১৮৯ কোটি টন, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৭১ দশমিক ১ শতাংশ ব্লাস্ট অক্সিজেন ফার্নেস ও ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস ব্যবহার করে উৎপাদন করা হয়েছে। 

২০২৩ সালে সর্বোচ্চ ইস্পাত রফতানিকারক দেশ ছিল চীন। দেশটি ৯ কোটি ৪৩ লাখ টন ইস্পাত রফতানি করে। একই সঙ্গে ১০০ কোটি টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করে চীনে সর্বোচ্চ উৎপাদকের স্থানও ধরে রেখেছে। 

ইস্পাত রফতানিতে চীনের পরের স্থানে ছিল জাপান। দেশটি ২০২৩ সালে ৩ কোটি ২২ লাখ টন ইস্পাত রফতানি করেছিল। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া ২ কোটি ৭০ লাখ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২ কোটি ৬০ লাখ ও জার্মানি ২ কোটি ২৫ লাখ টন রফতানি করে। 

অন্যদিকে শীর্ষ পাঁচ ইস্পাত আমদানিকারকের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৩ কোটি ৯২ লাখ, যুক্তরাষ্ট্র ২ কোটি ৬৪ লাখ, জামানি ও ইতালি যৌথভাবে ১ কোটি ৮৭ লাখ ও তুরস্ক ১ কোটি ৮০ লাখ টন ইস্পাত আমদানি করে। 

এদিকে ওয়ার্ল্ড স্টিলের তথ্য বলছে, ফেরাস ক্র্যাপের বৈশ্বিক রফতানি আগের বছরের তুলনায় দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালে ৯ কোটি ৯১ লাখ টন রফতানি হয়েছে। ১ কোটি ৬৩ লাখ টন রফতানি করে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রফতানিকারকের স্থান দখল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া জার্মানি ৭৫ লাখ টন, যুক্তরাজ্য ৬৯ লাখ, নেদারল্যান্ড ৭১ লাখ ও জাপান ৬৯ লাখ টন রফতানি করেছে। 

২০২৩ সালে শীর্ষ ফেরাস ক্র্যাপ আমদানিকারক ছিল ইইউ। ইইউভুক্ত দেশগুলো ৪ কোটি ৪৭ লাখ টন ফেরাস ক্র্যাপ আমদানি করেছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এছাড়া শীর্ষ আমদানিকারকদের মধ্যে ছিল তুরস্ক, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়াম। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন