ওমানকে হারিয়ে নবম টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপ শুরু করল অস্ট্রেলিয়া। আজ বৃস্পতিবার সকালে (বাংলাদেশ সময়) বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে
‘বি’ গ্রুপ ম্যাচে ওমানের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৬৫ রান। শেষ দিকে কিছুটা লড়াই করে মধ্যপ্রাচ্যের
দেশটি তুলতে পেরেছে ৯ উইকেটে ১২৫ রান। ব্যাটিংয়ের সময় অস্বস্তি থাকলেও শেষ পর্যন্ত
৩৯ রানের জয়ে পয়েন্টের খাতা খুলল ওয়ানডের বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
নামিবিয়ার সঙ্গে দুর্দান্ত
লড়াই করে সুপার ওভারে হেরে যাওয়া ওমান আজ বোলিংয়ে সাফল্য দেখালেও ব্যাটিংয়ের শুরুতেই
হেরে বসে। ৫৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে মধ্যপ্রাচ্যের এই দলটি। এরপর সপ্তম ও অষ্টম
উইকেটে যথাক্রমে ৩২ ও ২৮ রানের জুটিতে দল ১০০ রানের কোটা পার হলেও জয়ের নাগাল আর পাওয়া
হলো কই?
আয়ান খান দলের হয়ে সর্বোচ্চ
৩৬ রান করেন ৩০ বলের মোকাবেলায়। মেহরান খান করেন ১৬ বলে ২৭ রান। অধিনায়ক আকিব করেন
১৮ বলে ১৮ রান। শাকিল আহমেদের ১১ রান ছাড়া বাকিদের কেউ আর ২ অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে
পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন মার্কাস স্টয়নিস। ২টি করে উইকেট নেন
মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও নাথান ইলিস। অলরাউন্ড নৈপুন্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা স্টয়নিস।
এর আগে টস হেরে ব্যাট
করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ছিল বেশ ধীরগতির। অজিদের স্বভাবসুলভ নয় মোটেও। ৮.৩ ওভারের
সময় ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে হারানো অজিদের রান ছিল ৫০/৩! মানে,
রানরেট ৬-এরও কম! এরপর অভিজ্ঞ ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টয়নিসের ঝড়ো এক জুটিতে সম্মানজনক
সংগ্রহ নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬৪
বলে ১০২ রান তোলেন ওয়ার্নার ও স্টয়নিস। এর মধ্যে স্টয়নিসই ছিলেন বেশি মারমুখী। জুটিতে
তার অবদান ৩৩ বলে ৬৪, আর ওয়ার্নারের ৩১ বলে ৩৪ রান। ৫১ বলে ৫৬ রান করে ১৯তম ওভারে আউট
হয়ে যান ওয়ার্নার। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। পরে টিম ডেভিডকে নিয়ে
দলের সংগ্রহটা ১৬৪ পর্যন্ত নিয়ে নেন স্টয়নিস। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৬৭ রান করে।
ডানহাতি এই ব্যাটার তার মূল্যবান ইনিংসটি সাজান ২টি চার ও ৬টি ছক্কায়। টি-টোয়েন্টি
ক্যারিয়ারে এটি স্টয়নিসের দ্বিতীয় ফিফটি। ওমানের হয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন মেহরান খান।
একটি করে উইকেট নেন বিলাল খান ও কলিমুল্লাহ।
অজিরা শনিবার রাতে এই
মাঠেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। পরদিন অ্যান্টিনায় স্কটল্যান্ডের
মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড।