সংসদে বেনজীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেনজীরের বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ব্যবস্থা না নিলে আরো যারা বেনজীর আছেন, তারা আশকারা পাবেন।’

গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্যের সুযোগ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান। ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে মুজিবুল হক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সম্পাদকীয় পড়ে শোনান। তিনি বলেন, ‘আসলেই কী বিচিত্র। বিরোধী দলের কোনো নেতা যখন চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান, তখন বিমানবন্দরে তাদের অন্তত ২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। আর এ রকম একজন ব্যক্তি বিদেশে চলে যাবেন, সরকার জানবে না, তা হতে পারে না। এত বাহিনী, এত এজেন্সি তারা কী খবর রাখে?’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নু বলেন, ‘বেনজীর যখন র‌্যাবের ডিজি ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ছিলেন, তখন হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেককে ভয় দেখিয়ে জমি কিনেছেন। কয়েক দিন আগে ৮০ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বিদেশে চলে গেলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বেনজীর আহমেদ বিদেশে চলে গেছেন কিনা, তিনি জানেন না। তিনি জানবেন না কেন? সারা দেশে আলোচিত এই ব্যক্তি ইমিগ্রেশন পার হয়েছেন, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তা সরকারকে জানায়নি, তাহলে সব কর্মচারীকে বরখাস্ত করা উচিত।’

সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুজিবুল হক বলেন, ‘সরকারের দায় নেই বললে মানুষ তা মানবে না। কারণ, এই সরকারের আমলে বেনজীর আহমেদের পদোন্নতি, পোস্টিং হয়েছে। এই সরকারের আমলে দুর্নীতি করে তিনি এসব সম্পদ গড়েছেন। তার দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে।’

দুদকে যেতে ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন বেনজীর: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে সময় চেয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বেনজীরের পক্ষে তার আইনজীবী ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন। দুদকের উপপরিচালক বরাবর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, ‘আমি শুনেছি, দুদকের অনুসন্ধান দলের কাছে বেনজীর ১৫ দিনের সময় চেয়েছেন। যদিও এটা অনুসন্ধান টিমের বিষয়, এটি তাদের বিষয়। তারা ভালো জানবেন। কারণ এ বিষয়টি কমিশন পর্যন্ত আসে না। তবে তিনি সময় চাইলে আইন অনুযায়ী তাকে সময় দেয়া যেতে পারে।’

অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী জীশান মীর্জা ও দুই মেয়েকে ৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা কেউ দেশে নেই। যদিও দুদক থেকে তাদের বিদেশ যাত্রায় কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন