রফতানির বিপরীতে উৎসে কর ০.৫০% কার্যকর চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

রফতানির বিপরীতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতি বিজিএমইএ। এ সুবিধা আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখলে শিল্পটি চলমান সংকটেও স্বস্তিতে থাকবে মনে করছে সংগঠনটি। 

গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে বিজিএমইএ পর্ষদের মতবিনিময় সভায় সংস্থাটির সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এ দাবি তুলে ধরেন। এ সময় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান বোর্ডের সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আরশাদ জামাল (দীপু), সহসভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি মিরান আলী, সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক আনোয়ার হোসেন (মানিক), পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন খান, পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক রাজীব চৌধুরী, পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন, পরিচালক নুসরাত বারী আশা, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর, পরিচালক মো. রেজাউল আলম (মিরু) এবং পরিচালক গাজী মো. শহীদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘পোশাক শিল্পের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নীতিসহায়তা প্রয়োজন। কোনো কারণে সরকারের সহযোগিতা বন্ধ হলে তৈরি পোশাক খাত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাবে। একই সঙ্গে এ খাতের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ পোশাক শিল্প থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্য নিয়েছি। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের নীতিসহায়তা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। এ সহায়তা না পেলে লক্ষ্যে পৌঁছানো কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। আমাদের একান্ত প্রত্যাশা, সরকার শিল্পের জন্য সব সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। মনে রাখা জরুরি, সহযোগিতা কোনো কারণে বন্ধ হলে আমরা প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাব, বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এরই মধ্যে আমাদের সরাসরি রফতানিকারী কারখানার সংখ্যা পাঁচ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০-তে নেমে এসেছে। আমরা যদি কারখানাগুলো টিকিয়ে রাখতে পারতাম, তাহলে রফতানি আরো বাড়ত এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন