ছবি : সংগৃহীত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তার শিকার না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিক যেন অকারণে হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে সরকার সতর্ক আছে।’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে গতকাল সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা করা এবং ভুয়া লোক যাতে মহান এ পেশাকে অসম্মান করতে না পারে, সেজন্য সাংবাদিকদের সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘লেখা নাই, পড়া নাই, সাংবাদিকতা বোঝে না, সাংবাদিকতার ধারেকাছেও নাই—এমন অনেকে সারাক্ষণ সরকারি অফিসে বসে থাকে। ভুয়া সাংবাদিকরা যাতে অপসাংবাদিকতার বিকাশ ঘটাতে না পারে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকার সমালোচনার বিরোধী নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমালোচনা মানুষকে শুদ্ধ করে। সমালোচনা আমরাও করি, কিন্তু তা গঠনমূলক হওয়া প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় শিশু হত্যা, নারী হত্যা ও গণহত্যার সংবাদ কাভার করতে গিয়ে নিহত ১০৮ সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন প্রমুখ। ওবায়দুল কাদের ও জিএম কাদের চলে যাওয়ার পর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আসেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তিন দশক পূর্তি অনুষ্ঠানে বিএনপির পক্ষ থেকে কেক কাটেন।
