খাদ্যনালির ক্যান্সার

বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ফিচার ডেস্ক

ছবি: কানাডিয়ান ডাইগেসিভ হসপিটাল

অস্ত্রোপচার

যেকোনো ধরনের সার্জারির কিছু ঝুঁকি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। বিশেষ করে যে ডাক্তাররা খাদ্যনালির ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করেন, তারা ধরনের সমস্যায় রোগকে সাহায্য করতে পারবেন।

বিকিরণ চিকিৎসা

চিকিৎসক যদি বিকিরণ চিকিৎসার পরামর্শ দেন, তাহলে অবশ্যই রোগীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে সে সম্পর্কে জানিয়ে রাখতে হবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা বিকিরণের ধরনের ওপর নির্ভর করে। সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো:

  • যেখানে রেডিয়েশন দেয়া হয় সেখানে ত্বকের রঙের পরিবর্তন হয়
  • খুব ক্লান্ত বোধ করা (ক্লান্তি)
  • বমি বমি ভাব এবং বমি
  • মুখে গলায় বেদনাদায়ক ঘা
  • শুকনো মুখ বা ঘন লালা

চিকিৎসা শেষ হয়ে যাওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোও ঠিক হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

কেমো

কেমো দেয়ার কারণে একজন রোগী ক্লান্তি অনুভব করে। পেটে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, চুল পড়ে যেতে পারে। তবে চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর সমস্যাগুলো চলে যায়। বেশির ভাগ কেমোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোও চিকিৎসা করার উপায় রয়েছে। রোগীর যদি ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।

ইমিউনোথেরাপি

কোন ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার ওপর নির্ভর করে ইমিউনোথেরাপির বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো দেখা দেয়। ইমিউনোথেরাপি কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেকটা একই ধরনের। ধরনের ওষুধের জন্য রোগীর শরীরে ক্লান্তি আসে, পেটে নানা অসুখ দেখা দেয়। শরীরে ফুসকুড়ি হতে পারে। ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোও চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর ঠিক হয়ে যায়।

সূত্র: আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন