ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৩৯১ কোটি টাকার আদা আমদানি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৩৫ হাজার ৭৬২ টন আদা আমদানি করা হয়েছে ছবি: ফাইল/নিজস্ব আলোকচিত্রী

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আদা আমদানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এ বন্দর দিয়ে আদা আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদা মেটাতে আমদানি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে আদা আমদানি হয়েছিল ১৪ হাজার ৮০০ টন। যার আমদানি মূল্য ছিল ১৪৩ কোটি ২ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ভোমরা বন্দর দিয়ে আদা আমদানির পরিমাণ বেড়ে ৩৫ হাজার ৭৬২ টনে দাঁড়িয়েছে। এ সময় আমদানীকৃত আদার মোট মূল্য ছিল ৩৯১ কোটি টাকা। এ হিসাবে চলতি অর্থবছর এ বন্দর দিয়ে আদার আমদানি ২০ হাজার ৯৬২ টন বেড়েছে।

এ বিষয়ে ভোমরা বন্দরের মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান বণিক বার্তাকে জানান, দেশের বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় তার প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি আদা আমদানি বাড়িয়েছে। এ পণ্যের আমদানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছর অন্তত ৬০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আবু হাসান আরো বলেন, ‘‌আমদানীকৃত এসব আদা স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।’

এদিকে আমদানি বাড়ায় সাতক্ষীরার মসলা বাজারগুলোয় প্রয়োজনীয় সরবরাহ থাকায় আদার দাম কমেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গতকাল সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের একাধিক মসলা আড়ত ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

সাতক্ষীরা জেলা সদরের অন্যতম বাণিজ্যিক মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা আড়ত মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজে গতকাল আদা পাইকারি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকা দরে, যা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ছিল ২৪০-২৫০ টাকা।

পাইকারি বাজারে দাম কমায় খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ২২০-২৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক ব্যবসায়ী, যা ১৫-১৬ দিনে আগে ছিল ২৬০-২৭০ টাকা।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌বাজারে আদা ও জিরার দাম কমেছে। তবে অন্যান্য মসলাজাত পণ্যের দামও যেন স্বাভাবিক থাকে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। অতিরিক্ত মুনাফা করার জন্য কোনো ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন