নিতাইগঞ্জে নিম্নমুখী প্রবণতায় ডালের বাজার

বনিক র্বাতা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে সব ধরনের ডালের দাম কমেছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকে অব্যাহত চাহিদা কমায় পণ্যটির বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডালের দাম কেজিতে কমেছে ২-৫ টাকা পর্যন্ত। আবার কোনো কোনো ডালের দাম কেজিতে কমেছে ১০-১২ টাকা পর্যন্ত। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশী মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। একই ডাল রমজান মাসের শুরুতে বেচাকেনা হয়েছিল ১২৪ টাকা কেজি দরে। দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২২-১২৩ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে এটি বেচাকেনা হয়েছিল ১২৫ টাকা কেজি দরে। বোল্ডার মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮-১০০ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১০২ টাকা। ফাটি মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগে এটি ছিল ১০২ টাকা কেজি দরে। 

খেসারি ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৬ টাকায়। একই ডাল কিছুদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১০৬ টাকা কেজি দরে। বুটের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৮২ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এটি বেচাকেনা হয়েছিল কেজিপ্রতি ৮৫ টাকায়। ছোলা বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৮ টাকায়, দুই সপ্তাহ আগে যা ছিল ৯০ টাকা।

অন্যদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে মুগ ডালের দাম কমেছে ১২ টাকা। অ্যাঙ্কর ডালের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে মুগ ডালের চাহিদা বেশি থাকায় ও মিল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঈদের পর চাহিদা কমে যাওয়ায় দামও কমেছে। এখন প্রতি কেজি মুগ ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৫ ও অ্যাঙ্কর ৬৭ টাকায়। 

ডাল ব্যবসায়ী বিধান কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘রোজার সময় ডালের দাম কেজিতে ৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। কিন্তু ঈদের পর থেকেই দাম কমছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ৫-১২ টাকা পর্যন্ত।’ 

তিনি বলেন, ‘‌ডালের ব্যবসা মূলত নিয়ন্ত্রণ করে বড় বড় করপোরেট কোম্পানি। নিতাইগঞ্জের বেশির ভাগ ডাল মিল বন্ধ। ব্যবসায়ীরা  বড় কোম্পানির কাছ থেকে কিনে এনে কেজিতে ১ টাকা বা ৫০ পয়সা লাভে বিক্রি করে থাকেন।’ 

মিল মালিকরা মিল গেট থেকে যে রেটে ডিও বা এসও বিক্রি করেন, তার সঙ্গে পরিবহন খরচ ও দোকান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় যুক্ত করে বাজারে ডাল বিক্রি করা হয় বলেও জানান তিনি।

ডাল মিল মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান উদ্দিন জানান, ডালের ব্যবসায়ীরা এখন বড় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পণ্য এনে বিক্রি করেন। নিতাইগঞ্জের ব্যবসায়ীদের দাম নিয়ন্ত্রণ বা বাড়ানো-কমানোর কোনো ক্ষমতা নেই। মূলত বিষয়টি নির্ভর করে আমদানিকারক ও মিলারের ওপর। তারা যে রেট নির্ধারণ করে দেন, জেলার ব্যবসায়ীরা তা এনে সল্প লাভে বিক্রি করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন