চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা

বজ্রপাতে গতকাল কুমিল্লায় চার, রাঙ্গামাটিতে তিন, কক্সবাজারে দুই ও খাগড়াছড়িতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে—

কুমিল্লা: জেলার বুড়িচং, দেবীদ্বার, সদর দক্ষিণ ও চান্দিনা উপজেলায় গতকাল বিকালে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা ও স্থানীয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন বুড়িচং উপজেলার পাঁচোড়া নোয়াপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. আলম হোসেন (২০), দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মোখলেছুর রহমান (৫৮), সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের উত্তর সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম (৫০) ও চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের কিছমত-শ্রীমন্তপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে দৌলতুর রহমান (৪৭)।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী বলেন, ‘‌বজ্রপাতে মারা যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।’

রাঙ্গামাটি: জেলা শহর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় গতকাল বজ্রপাতে দুই নারীসহ তিনজন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিরা হলেন রূপকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান (৫৭), সাজেক ইউনিয়নের লংথিয়ান পাড়ার বাসিন্দা তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭) ও রাঙ্গামাটি জেলা শহরের তবলছড়ি সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০)। এর মধ্যে বাহারজান সকালে ও তনিবালা ত্রিপুরা দুপুরে মারা যান। মো. নজির সকালে মারা যান।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীণ আক্তার বলেন, ‘বাঘাইছড়ির রূপকারী ও সাজেক ইউনিয়নে বজ্রপাতে দুই নারী মারা গেছেন। কয়েকজন আহত হয়েছেন।’ এছাড়া রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শওকত আকবর জানান, নজিরকে হাসপাতালে আনার আগে মৃত্যু হয়েছে।

রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা বলেন, ‘‌বজ্রপাতে রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়িতে একজন ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় দুজন নিহতের খবর পেয়েছি। এছাড়া সাতজন আহতের খবর শুনেছি।’

কক্সবাজার: পেকুয়ায় বজ্রপাতে দুই লবণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৩টায় মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন কোদাইল্যাদিয়া এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩০) ও ছরিপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. আরাফাত (১২)।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজিবুর রহমান জানান, ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজাখালী থেকে আরাফাতকে পেকুয়া হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী বলেন, ‘রাতে বৃষ্টি শুরু হলে দিদার লবণ তুলতে মাঠে যায়। এ সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।’

খাগড়াছড়ি: মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের ইব্রাহিম পাড়ায় গতকাল সকালে ঝড়ো বাতাসে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ইয়াছিন আরাফাত (১৩) ইব্রাহিম পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী বলেন, ‘‌বজ্রাঘাতে মৃত ছাত্রের পরিবারকে প্রশাসনিক সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন