বিশ্ববাজারে তিন মাসে দিগুণ বেড়েছে কোকোর দাম

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বাজারে কোকোর দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বৈশ্বিক সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়ায় পণ্যটির দামে এমন উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে বাজারসংশ্লিষ্টরা। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোয় সবচেয়ে বেশি কোকো উৎপাদন হয়। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় সম্প্রতি সেখানে উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছে চকোলেট উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। এমন বাস্তবতায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে কোকোর দাম। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ৬০০ ডলারে।

২০২৩-২৪ মৌসুমে কোকোর বৈশ্বিক সরবরাহ আগের মৌসুমের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে গ্লোবাল ডাটা। সরবরাহ কমার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখবে আইভরি কোস্ট ও ঘানা। এ দুই দেশে চলতি মৌসুমে কোকোর উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইভরি কোস্ট ও ঘানার মিলগুলো বর্তমানে উৎপাদন স্থগিত এবং ক্ষেত্রবিশেষে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ কোকো বীজের উচ্চ মূল্যের কারণে ব্যয় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মিলগুলো।

বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর যে পরিমাণ কোকো সরবরাহ হয়, তার ৪৫ শতাংশই আসে আইভরি কোস্ট থেকে। এবার সেখানে কোকোর আবাদও অনেক কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি নাইজেরিয়া ও ঘানাসহ অন্য শীর্ষ দেশগুলোয়ও আবাদ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তথ্য বলছে, গত তিন মাসের ব্যবধানে নিমেক্সে কোকোর দাম প্রায় ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত দাম বেড়েছে প্রায় ২৫৫ শতাংশ। গত বছর পণ্যটির দাম ৬১ শতাংশ বেড়েছিল।

কোকোর বাজারে এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চকোলেটপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে। চকোলেট উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল কোকো। এটির দাম বাড়ায় ভোক্তা পর্যায়ে চকোলেটের দামও লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন