ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

নতুন ক্যাম্পাসকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরি হিসেবে গড়ে তুলব

ছবি: ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সৌজন্যে

গত বছরের নভেম্বরে আমরা এ ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করি। প্রথমদিকে অনলাইনে ক্লাস নিতে হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা এ ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে উন্মুখ ছিল। তাদের আগ্রহ দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে পরীক্ষাগুলো শুক্র-শনিবার ক্যাম্পাসে নেয়া হবে। ডিসেম্বরে আমরা এ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিয়েছি। ৯৭ ভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইতিহাসে এত বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার রেকর্ড নেই। এটা এ ক্যাম্পাসের প্রতি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসার এক উদাহরণ। আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসটাকে অনেক আপন করে নিয়েছে।  

নতুন এ ক্যাম্পাস দেশের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন একটা দরজা খুলে দেবে—এটা আমাদের বিশ্বাস। আমরা মূলত ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এ নতুন ক্যাম্পাসকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের একটা ল্যাবরেটরি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা, মানসম্মত গবেষণা আর উচ্চমানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের একটি ফ্ল্যাগশিপ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলব। এ ক্যাম্পাসকে শিক্ষা, গবেষণা,  উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা তৈরির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখছি। নেটওয়ার্কিং অপরচুনিটি থাকবে, ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পার্টনারশিপ ব্যবস্থা রাখব। 

আমরা শিক্ষক তৈরিতে ‘‌সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ নামে একটি ‌‌লার্নিং অ্যান্ড টিচিং ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে দেশের সেরা শিক্ষক তৈরি হবে। আমরা বিশ্বের সেরা ট্যালেন্টদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই। এ ক্যাম্পাসের গ্রিন বিল্ডিং, নবায়নযোগ্য শক্তির বিভিন্ন উৎস এবং দক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলো সবার প্রতি ইতিবাচক একটা বার্তা পাঠাবে বলে আমার বিশ্বাস। যার ফলে বিশ্বের সেরা মেধাবীরা এখানে পড়তে এবং পড়াতে আসার আগ্রহ পাবে। 

এ ক্যাম্পাস পরিবেশ সচেতনতার প্রতি শিক্ষার্থীদের আরো বেশি সচেতন করে তুলবে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা পরিবেশগত ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করবে। এখানে আউটরিচ প্রোগ্রাম, কর্মশালা ও শিক্ষামূলক সামাজিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে; যা সমাজের মানুষদের ইতিবাচক পরিবর্তনে সহায়তা করবে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এ সবুজ ক্যাম্পাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয়ভাবে সবুজ প্রযুক্তি এবং গবেষণা বিকশিত হবে, যা সামগ্রিকভাবে পুরো সমাজের জন্যই হবে ইতিবাচক। সব মিলিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এ নতুন ক্যাম্পাস টেকসই পরিবেশ, সুন্দর ভবিষ্যৎ ও শিক্ষিত জাতি গঠনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির ইশতেহার। 

প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ

ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন