সানলাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক কর্মী মো. শহিদুল ইসলাম
চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের
অভিযোগে দুটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের সহকারী
পরিচালক মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
মোট ৫ কোটি ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৫৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে
তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ মানি লন্ডারিং
প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দুটি দায়ের
করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে
মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট ৪০ লাখ ৫১ হাজার ১৬০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ
৩৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৮৮ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদের তথ্য
পায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নাজনীন চৌধুরীর নামে ৭১.৭৫ শতাংশ
জমি, ১ হাজার ৫৪০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট এবং চার তলা একটি বাড়িসহ ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৭
হাজার ১৬৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।
মূলত শহিদুল ইসলাম চৌধুরী তার সম্পদের উৎস আড়াল করার উদ্দেশ্যে স্ত্রীর নামে এ বিপুল
সম্পদ করেছেন বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
নাজনীন চৌধুরী নিজ নামের সম্পদের তথ্য গোপন করার উদ্দেশ্যে তার বাবার
কাছ থেকে বিভিন্ন সময় হেবা দলিল করিয়ে নিলেও দুদকের অনুসন্ধানে তা ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায়
নাজনীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ১৭ হাজার ১৬৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৪ কোটি
৭৬ লাখ ৭ হাজার ১৬৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদের মালিকানার
অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়।