সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরিবেশ আরো সহজীকরণের ওপর জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন ইনভেস্টমেন্টের বৈঠকে এ নিয়ে কথা বলেন তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, সারা দেশে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও ব্যবসার লাইসেন্স প্রাপ্তি, নিবন্ধন, অন্যান্য সনদ ও পরিষেবাসহ কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণের দিক থেকে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে। ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এখানে শিল্প স্থাপনে কম উৎসাহ দেখাচ্ছেন।
বিদেশী বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়াতে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধানে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বৈঠকে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বিভিন্ন মিশনে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ও এফবিসিসিআইয়ের অন্তর্ভুক্ত জয়েন্ট চেম্বারগুলো কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেন ব্যবসায়ী নেতারা।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিজনেস হাব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের প্রচুর এফডিআই (সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ) প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমাদের পলিসি লেভেলে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’
বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়ীদের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। প্রাপ্ত প্রস্তাবনাগুলো বিশ্লেষণ করে তা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরারও আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী জানান, বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির স্বার্থে সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে যৌক্তিক সুপারিশমালা উপস্থাপন করা গেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবুল কাসেম খান বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনো পুরোপুরি বিদেশী বিনিয়োগবান্ধব হতে পারেনি। সময় এসেছে দ্রুত করণীয় নির্ধারণ করে অগ্রসর হওয়ার।’
বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রথমে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও সমাধানসহ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর ওপর জোর দেন কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশিদ, মোহাম্মদ ইশহাকুল হোসেন সুইট, মো. আমির হোসেন নূরানী প্রমুখ।