টেকসই শ্রম সম্পর্কে জোর দিয়ে আরব আমিরাতে সম্মেলন

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারকে এগিয়ে নিতে এশিয়ার দেশগুলোর অংশগ্রহণে সম্মেলনের আয়োজন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এতে দেশগুলোর শ্রম সম্পর্কের ভবিষ্যৎ ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

ওয়ার্ল্ড গভর্মেন্টস সামিট ২০২৪-এর অংশ হিসেবে রোববার দুবাইয়ে আবুধাবি ডায়ালগ (এডিডি) শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের পরামর্শ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে এশিয়ার ১৬টি দেশ অংশ নেয়।

অতিথিরা বিদেশে কর্মী প্রেরণ ও গ্রহণসংক্রান্ত শ্রমবিরোধ মীমাংসা এবং রায় ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা বিষয়ে আলোচনা করেন। আলাচনায় মজুরি সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার ও দেশগুলোর মধ্যে দক্ষতা কর্মীর চলাচল সহজ করার বিষয়েও গুরুত্ব দেন তারা। শ্রমবাজারের বিধিবিধান ও উদ্যোগের উন্নতির দিকেও বিশেষ নজর দেন অতিথিরা।

আবুধাবি সংলাপে এটি ছিল সপ্তম আসর। এতে অংশ নেয়া ১৬ দেশের মধ্যে কর্মী প্রেরণকারী দেশ নয়টি ও নিয়োগদাতা দেশ সাতটি। কর্মী প্রেরণকারী দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইনস, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। অন্য পক্ষে রয়েছে ইউএই, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ার আবুধাবি সংলাপের তাৎপর্য নিশ্চিত করে এ অঞ্চলে শ্রমগতিশীলতার ওপর গুরুত্ব দেন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে শ্রমবাজারের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যে এ প্লাটফর্মের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‌আবুধাবি সংলাপ পদ্ধতি ও সিদ্ধান্তের একীকরণের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টেকসই সমাধান, উদ্ভাবনী ধারণা প্রদর্শনে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হতে পারে, যা চলমান বৈশ্বিক প্রবণতা ও সফল আঞ্চলিক উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণভাবে অবদান রাখতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘‌শ্রমবাজারগুলো বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিস্তৃত কাঠামোগত পরিবর্তন, যা কাজের প্রকৃতি ও ব্যবসার ধরন, চাকরি এবং বৈশ্বিক রূপান্তরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাকেও প্রভাবিত করছে। বিশেষ করে এ আমূল পরিবর্তন অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল দিকগুলোকে প্রভাবিত করছে।’

মন্ত্রী আল আওয়ার বলেন, ‘‌এ সংলাপ মন্ত্রণালয় পর্যায়ের অংশীদারত্বে জোর দেয়। এছাড়া বৈশ্বিক ভবিষ্যৎ প্রবণতা ও অগ্রাধিকারের রূপরেখা তৈরি করে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে সমন্বিত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতার জন্য একটি আদর্শ সুযোগ তৈরি করে।’

আল আওয়ারের বক্তৃতায় সংযুক্ত আর আমিরাতে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার কথাও উঠে এসেছে। যার মধ্যে রয়েছে বেকারত্ব বীমা প্রকল্প, সেভিংস স্কিম, মজুরি সুরক্ষা ব্যবস্থা, শ্রমিক সুরক্ষা কর্মসূচি ও অন্যান্য উদ্যোগ। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন