বিসিআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে গভর্নর

কোনো ব্যাংককে ঋণপত্র খুলতে না করিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ‘আমরা কোনো ব্যাংককে ঋণপত্র খুলতে না করিনি। এখন প্রতিদিন থেকে হাজার ২০০ ঋণপত্র খোলা হচ্ছে। আমরা কঠোর হাতে ওভার এবং আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ করার চেষ্টা করছি। গতকাল বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরীর (পারভেজ) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি কথা বলেন।

বৈঠকে গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য বিকল্প সব পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি কমেনি। এরপর আমরা মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য ব্যাংক ঋণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আশা করি, খুব দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে। কারণ আমাদের এখন প্রধান কাজ মুদ্রাস্ফীতি কমানো। ঋণপত্র খোলার বিষয়ে বলতে চাই আমরা কোনো ব্যাংককে ঋণপত্র খুলতে না করিনি এবং এখন প্রতিদিন থেকে হাজার ২০০ ঋণপত্র খোলা হচ্ছে। আমরা কঠোর হাতে ওভার আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ করার চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি, জানুয়ারি ২০২৫ থেকে আর ডলারের স্বল্পতা থাকবে না। এসএমই খাতের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে, যেখান থেকে শতাংশ হারে এবং নারী উদ্যোক্তারা শতাংশ হারে ঋণ নিতে পারে।

বিসিআই প্রতিনিধি দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে খাদ্য পণ্য, সার জ্বালানি আমদানি, এরপর অন্য কিছু। অগ্রিম ডলার বুকিংয়ের বিষয়ে ভুলভাবে সংবাদ এসেছিল। আমরা পরবর্তী সময়ে এর ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। এটা শতাংশ সুদে তিন মাস মেয়াদে বুকিং দিতে হবে। সেক্ষেত্রে দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ হবে।

বৈঠকে বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে সব প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমে গেছে। ঋণের উচ্চ সুদহার, বিদ্যুৎ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিসহ সবকিছু মিলিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান পূর্ণ সক্ষমতায় চলতে পারছে না। ঋণের উচ্চ সুদের সঙ্গে ব্যাংকগুলো বন্ডে বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকাই এখন চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরো বলেন, ‘শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র খুলতে পারছে না শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো। ডলার স্বল্পতার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করে দেয়া রেট থেকে অনেক বেশি টাকায় ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে। সময়মতো নগদ সহায়তা ছাড় না করা গেলে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না। আমরা মনে করি, নগদ সহায়তা দ্রুত সময়মতো ছাড় করা উচিত।

সভায় বিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, পবিচালক রঞ্জন চৌধুরী, . দেলোয়ার হোসেন রাজা, আবুল কালম ভূঁইয়া, জিয়া হায়দার মিঠু, মিজানুর রহমান, রুসলান নাসির, সোহানা রউফ চৌধুরী, মো. সেলিম জাহান, মো. মাহফুজুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের নুরুন নাহার এবং বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের পরিচালক মো. সারোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন