তরুণ শিল্পীদের তুলিতে বাংলাদেশের শীতকাল

জাহাঙ্গীরনগরে শীতের পাখি। শিল্পী: মানিক বণিক

The trumpet of a prophecy! O Wind, 

If winter comes, can spring be far behind?

শীতের প্রসঙ্গ এলেই পি বি শেলির লাইন দুটো চলে আসে তবে চিরায়ত বাংলার ঋতুবৈচিত্র্যে শীত কেবল বসন্তের পূর্বাভাস কিংবা তোরণ মাত্র নয়, রয়েছে স্বতন্ত্র অবস্থান। শীতের কুয়াশা, সূর্য, মেঘ, প্রকৃতি মানুষের যাপিত জীবনের সর্বস্তরে আসে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। শীতের স্বাতন্ত্র্য শিল্পীর চোখে যেন আরো স্পষ্ট দেদীপ্যমান। স্বাভাবিকভাবেই দেশের তরুণ চিত্রশিল্পীদের কর্মতৎপরতার বড় অংশজুড়েই রয়েছে শীতের উপস্থিতি। সেই সব আঁকাআঁকি শীত থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণাকে তুলে ধরতেই নভেরার বিশেষ আয়োজন।

তারেক আমিন

চিত্রশিল্পী তারেক আমিনের বেড়ে ওঠা সুনামগঞ্জে। হাওর অঞ্চলে বেড়ে ওঠার কারণে প্রকৃতিই তার কাজের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তার চিত্রকর্মে শীত হাজির হয়েছে অন্য কণ্ঠস্বর নিয়ে। তিনি বলেন, ‘শীত আমার প্রিয় ঋতু। বিশেষ করে বাংলাদেশের শীত। ইউরোপের শীত আমার কাছে ভয়ংকর লাগে, সে তুলনায় বাংলাদেশের শীত আমার চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর। শীতের সময় মনে হয় পুরো বাংলাদেশে গালিচা পাতা থাকে, যেখানে ইচ্ছে শুয়ে পড়া যায়।

তারেক আমিন ইউরোপ ঘুরে এসেছেন কিছুদিন আগে। সেখানকার শীতকাল শীতকে নিয়ে চিত্রশিল্পীদের কার্যক্রমের প্রাচুর্য তাকে মুগ্ধ করে। বাংলাদেশী চিত্রকলায় শীতের প্রভাব তুলনামূলক কম বলে মনে করেন তিনি। তার কথায়, ‘এর কারণ শীতকালে এখানকার দৃশ্যপট খুব বেশি আলাদা থাকে না। কিন্তু বাইরের শীতকাল অন্য ঋতুর তুলনায় আলাদা। তাতে তুষারপাত থাকে, বৈচিত্র্য থাকে দৃশ্যের পরিবর্তন হয়। আর দৃশ্যের পরিবর্তনই তৈরি করে বৈচিত্র্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে স্নাতক স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তারেক আমিন। দুবার জিতেছেন জাতীয় পুরস্কার। শৈশব কৈশোরের নস্টালজিয়া নিয়ে তার আঁকাআঁকিজুড়ে গ্রামের প্রাধান্য। এক্ষেত্রে তার সহজ স্বীকারোক্তি, ‘আমি পেইন্ট করতে গেলে নাগরিকতার চেয়ে গ্রাম বেশি প্রাধান্য পায়। ছোটবেলায় কুঁড়েঘর, নারকেল গাছ ধানখেত দেখতাম, এখনো আঁকতে গেলে সেই গ্রাম চলে আসে। অবশ্য এখন গ্রামের পরিবর্তন আসছে, হয়তো একসময় থাকবে না। তবে গ্রাম খুবই টানে এক্ষেত্রে। গ্রামে ছিলাম কিছুদিন আগেও। গ্রামে থাকার সময় প্রতিদিন হাওরে যেতাম ছবি তুলতে।

শীতকে আঁকতে গিয়ে তিনি আঁকেন নদী, নৌকা আর মানুষের জীবনকে। নদী তার চোখে যেন জীবনেরই আরেক নাম। তিনি বলেন, ‘একসময় যৌবনপ্রাপ্ত নদী শীতকালে এসে শুকিয়ে যায়। প্রথমত, এটাই বাস্তবতা, সব সৌন্দর্য কিংবা যৌবন পরে ভাটায় রূপ নেয়। দ্বিতীয়ত, দেশে নদী খনন নিয়ে রয়েছে হতাশাজনক অনীহা। আগে অনেক খাল নদী ছিল, এখন যাদের অস্তিত্ব নেই। এভাবে রাষ্ট্রীয় নাগরিক অবহেলার কারণে নদী রূপ হারাচ্ছে। আর নদী রূপ হারানোর মানে রাষ্ট্র তার অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য হারাচ্ছে। দৃষ্টিকোণ থেকেই শীতের নদী আঁকা।

সত্তাসন্ধানী তারেক আমিনের চিত্রকর্মের প্রতিটিই তার কাছে প্রিয় কোনো অভিব্যক্তির হাজিরা। আলাদা করে দেখলে সবই প্রিয় লাগে।পেইন্টিংটা বছর বেশি করছি। আমি মূলত একজন প্রিন্টমেকার, এছাড়া সাধারণত পেন্সিল স্কেচও করি। বর্তমানে পেইন্টিং করছি বৈচিত্র্যের অংশ হিসেবে। আমি চেষ্টা করি আজকের দিনে ইমপ্রেশনিস্টরা থাকলে তাদের স্টোক কেমন হতো। সেটা ধারণ করার প্রচেষ্টা করি। রঙ দিয়েই স্কেচ করার চেষ্টা করছি, সবগুলোই আমার প্রিয়।

মানিক বণিক

শিল্পী মানিক বণিকের জন্ম ভোলায়। চিত্রকর হয়ে ওঠার পেছনে মায়ের ইচ্ছের সঙ্গে ছিল দিদির সঙ্গে বসে ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকা। ১০ বছর ধরে ছবি আঁকছেন মানিক। তিনি ল্যান্ডস্কেপ আঁকতেই বেশি পছন্দ করেন। তার কথায়, ‘ল্যান্ডস্কেপের প্রতি আমার আগ্রহ এসেছিল হাশেম খান স্যার, রফিকুন নবী স্যারের ইলাস্ট্রেশনগুলো দেখে। আবার বাংলা বইয়ের পেছনে আঁকা ল্যান্ডস্কেপ ছবিগুলোও দেখতাম। এছাড়া যেগুলো কবিতার সঙ্গে, ছড়ার সঙ্গে থাকত। আমি ঢাকা, ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটির নানা জায়গায় বসে ল্যান্ডস্কেপের ছবি এঁকেছি। এবারের শীতকালেও ব্যতিক্রম হয়নি। মানিক জানালেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন ২৩ ডিসেম্বর। তার কথায়, ‘সেখানে ল্যান্ডস্কেপ আঁকা হয়েছে। এখন ছবিটাই আমার কাছে বেশ প্রিয়। শীতকালে জাহাঙ্গীরনগরে একটা ভিন্ন রকমের পরিবেশ থাকে। কুয়াশার মধ্যে জঙ্গলের ভেতরে বসে নীরব একটা পরিবেশ, শীতের পাখিরা থাকে। ছবি আঁকতে বেশ ভালো লাগে। জাহাঙ্গীরনগরের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়া নিয়ে ইদানীং অনেক অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি শিল্পী মানিকেরও চোখ এড়ায়নি। বললেন, ‘আমার একটি ছবি ২০১৯ সালে জাহাঙ্গীরনগরে আঁকা, যেখানে দেখতে পাওয়া যাবে অসংখ্য অতিথি পাখি। আর ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩- শেষ আঁকা ছবিটি লক্ষ করলে দেখা যাবে খুবই অল্প পাখি আছে। কারণ এখন আর আগের মতো অতিথি পাখি জাহাঙ্গীরনগরে আসে না। অতিথি পাখির অভয়ারণ্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আজ সুরহীন, ছন্দহীন। নেই পাখিদের কলতান, আছে কেবল মানুষের গমগম শব্দ...

পলাশ দত্ত

শিল্পী পলাশ দত্ত শীতের সকাল (উইন্টার মর্নিং) শিরোনামে এঁকেছেন একাধিক ছবি। ছবিগুলো নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি প্রকৃতি পছন্দ করি। যখনই সময় পাই আমি আউটডোরে গিয়ে ছবি আঁকি। অ্যাবস্ট্রাক্টের চেয়ে আমাকে রিয়েলিস্টিক আর্ট বেশি টানে। শীতের সকাল শিরোনামের বেশির ভাগ ছবি আমার শহর ময়মনসিংহে বসে আঁকা। ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে বসে আমি অনেক ছবি এঁকেছি। তবে বেশকিছু ছবি আমি বুড়িগঙ্গার পাড়ে বসেও এঁকেছি। স্টুডিওর চেয়ে প্রকৃতিতে বসেই তিনি আঁকতে পছন্দ করেন।আমার বাসায় একটি স্টুডিও আছে। তাই বাসায় বসেও অনেক কাজ করা হয়। তবে আমি প্রকৃতির আশপাশে থাকতেই বেশি পছন্দ করি। হয়তো নদীর পাড়ে বসে রইলাম, চোখের সামনের দৃশ্যটাই মাথায় আটকে গেল। সেই দৃশ্যটাই এঁকে ফেললাম। শীতের সকাল শিরোনামে আমার আরো কিছু ছবি আসবে।

ফারজানা রহমান ববি

শীতের প্রকৃতি যেন ঝরা পাতার উৎসব। উল্টোটাও হতে পারেযেন প্রকৃতির বেদনা। শীতকালের ল্যান্ডস্কেপের চেয়ে শিল্পী ফারজানা রহমান ববি তার দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন এই ঝরা পাতায়। তার কথায়, ‘শীতকালে প্রকৃতিতে যে পাতা ঝরে যায় সেটা নিয়েই আমি কাজ করি। তবে শীতকালের বাইরেও ফোলিয়েজ নিয়ে আমার অনেক কম্পোজিশন আছে। শীতকালে যেভাবে রাস্তায় পাতা পড়ে থাকে, তাতে যে শেপ তৈরি হয়মোড়ানো, অনেক সময় ভেঙে যায়এই ফর্মগুলো নিয়ে কাজ করি। এগুলোর রঙটাও একটা বিশেষ ব্যাপারকখনো রঙ ফেড হয়ে যায়, কখনো প্রায় কালোএভাবেই কালার কম্পোজিশন করি। আর পুরো ব্যাপারটার সঙ্গে আমাদের জীবনটাকেও রিলেট করি। জীবনের শেষ পর্যায়ে মানুষের জীবনও অনেকটা ঝরে পড়া পাতার মতো হয়ে যায়। ল্যান্ডস্কেপ রেখে কেন মৃত পাতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন সে বিষয়ে ববি বলেন, ‘শিক্ষাজীবন থেকেই আমার প্রকৃতি নিয়ে কাজের উৎসাহ। ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে অনেক স্টাডি করেছি। আমরা সাধারণত বিস্তৃত ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত, যেখানে অনেক কিছু থাকবে। তখন আমার মনে হলো ছোট একটা সাবজেক্ট নিয়ে যদি সেটাকে এনলার্জ করি তাহলে বিষয়টা কেমন হয়।

শাহানুর মামুন

ময়মনসিংহের সন্তান শাহানুর মামুন। ব্রহ্মপুত্র সুতিয়া নদীর পাড়ে কাটানো শৈশব পরিণত হয়েছে সৃজনবেদনায়। আর সৃজনশীল সে সত্তাকে হাজির করার জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন জলরঙকে। তার ভাষায়, আবহাওয়ার বৈচিত্র্য দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় জলরঙের মাধ্যমে। শীতের সকাল, সূর্যের পরিবর্তন, কুয়াশা নদীর পাড় তাকে সৃষ্টির অনুপ্রেরণা দেয়। শীত নিয়ে তার কাজ ঢের। কখনো কুয়াশাময় গ্রামের পথে একা এক সাইকেল আরোহী, কখনো রৌদ্রহীন নিস্তব্ধ নদী কিংবা কখনো বিকালের আলোয় আবছা হলুদ শর্ষে খেত। বিকাল হোক কিংবা সকালকুয়াশা তাকে বেশি প্রভাবিত করে। ছোটগল্পের রহস্যের মতো তার চিত্রকর্মকে যেন আগলে রাখে কুয়াশা। পেশাগত জায়গা থেকে শীতকালকে তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্লেইন এয়ার পেইন্টিং বা চার দেয়ালের বাইরে আউটডোর পেইন্টিংয়ের জন্য শিল্পীরা অপেক্ষা করে, কখন শীত আসবে।

আউটডোরের অংশ হিসেবে তিনি ছুটে ফেরেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তিনি বলেন, ‘ বছরের প্রথম দিন চলে গিয়েছিলাম শীতলক্ষ্যার পাড়ে। শীতের তীব্রতায় কিছু করা যাচ্ছিল না। খড় জোগাড় করে আগুন ধরালাম। হাতটা একটু সহজ হয়ে এলে শুরু করলাম কাজ। আঁকলাম শীতের মাঠ, কুয়াশা শর্ষে ফুল। শর্ষে ফুল আঁকা কিন্তু অত সহজ না।

তার অন্তর্দৃষ্টি জলরঙে শীতকাল যেন গ্রামময়। প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শহরকে তো প্রায়ই আঁকা হয়। নানা সময়ে নানাভাবে তুলে ধরা হয় শহুরে রাস্তা, দোকান মানুষের যাপিত জীবনকে। কিন্তু শীতকালের ল্যান্ডস্কেপ ভিন্ন। শীতের সকাল কুয়াশার জন্য গ্রাম আমাকে বেশি টানে।

শীত নিয়ে তার প্রিয় দুটি চিত্রকর্ম মাস্টার্ড ফিল্ড সানরাইজ ইন উইন্টার মর্নিং। প্রথমটি অ্যাক্রিলিক দ্বিতীয়টি জলরঙে আঁকা। মাস্টার্ড ফিল্ড আঁকার পেছনের রহস্য তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ছবিটি আঁকতে আমি কেরানীগঞ্জে ছিলাম তিনদিন। এখানে তুলে ধরা হয়েছে বিকালকে। বিকালে খড়ের স্তূপে লাল রঙের আলো পড়েছে। ফুলের ওপর আলো পড়ে চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। জলরঙে একদিনে শেষ করা যায়, কিন্তু অ্যাক্রিলিকে সময়ের দরকার হয়। আমিই বিষয়টিকে নিখুঁত করার জন্য সময় নিয়েছি। ওই তিনদিন সেখানেই খাওয়া-দাওয়া করতাম। সে এক অন্য জীবনবোধ।

অন্যদিকে সানরাইজ ইন উইন্টার মর্নিং এঁকেছেন জলরঙে। তার কথায়, ‘এটার ল্যান্ডস্কেপটা খুব নস্টালজিক। আমার গ্রামে কুয়াশা ঘেরা এক সকালে আঁকা। কিছুটা দেখা যায়, কিছুটা দেখা যায় না। পানিতে নাড়া পচে একটা অন্য রঙ তৈরি হয়েছে। ওই পরিবেশের মধ্যে বিশাল মাঠের ওপাশে সূর্য উঠছে। সামনে তালগাছ। জলরঙের সাথে এসবের ক্যামিস্ট্রিটা দারুণ হয়। কিছুক্ষণ পর হয়তো সূর্য উঠে গেলে সব স্পষ্ট হবে, কিন্তু এখন একটা আবছা রহস্য তৈরি হয়েছে। মনে হয় দূরে কেউ যাচ্ছে, কিন্তু চিনতে পারছি না। মনে হচ্ছে হয়তো তালগাছ, কিন্তু অন্য কোনো গাছ। 

আশফাক বাপ্পী

নাটোরের সন্তান শিল্পী আশফাক বাপ্পী ষড়ঋতুর মধ্যে শীতকালকে বেশি পছন্দ করেন। শীতকালকে নিয়ে এঁকেছেন বেশ কিছু ছবি। ‘নাটোরে অসংখ্য ল্যান্ডস্কেপ আছে। মূলত সেখান থেকেই আমার ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে ছবি আঁকার ভাবনা, আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা এসেছে। আসলে আমার বাবার স্বপ্ন ছিল চিত্রশিল্পী হবার। তিনিও ছবি আঁকেন, তবে যেকোনো কারণেই হোক তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। আমি জলরঙয়ে আঁকতে বেশি পছন্দ করি। শীতকালের যে আবহাওয়া, পরিবেশটা যেমন থাকে, সেই সঙ্গে জলরঙটা বেশ ভালোভাবেই যায়।’ শীতকালের রূপ ধরতে বাপ্পী চলে যান বুড়িগঙ্গার পাড়ে। ‘আমার সবচেয়ে বেশি ছবি আঁকা হয়েছে বুড়িগঙ্গার পাড়ে বসে। আমি সেমি-অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবি আঁকি। আমার মনে হয় এতে ল্যান্ডস্কেপের চিত্রটা বেশ ভালোভাবে ফুটে ওঠে। শীতের আঁকা ছবির মধ্যে আমার সর্বশেষ আঁকা ছবি হলো ‘উইন্টার ২০২৪’। শীতে বৃষ্টির একটি ছবি আছে যেটি আমার সবচেয়ে পছন্দের। ছবিটি আমি নাটোরে বসে এঁকেছিলাম। মাছ ধরার জন্য জাল ফেলা হয়েছিল এবং তখন বৃষ্টি নেমেছিল।’

নবরাজ রায়

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর করতে গিয়ে ছবি আঁকায় বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন নবরাজ। তার পছন্দ অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট। শীতকালকে কেন্দ্র করে বেশকিছু অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবি আছে তার। তিনি বলেন, ‘একটু ভিন্ন চিন্তার কাজ অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট। আমি এটাই পছন্দ করি।শীতকালকে নিয়ে আঁকা ছবিগুলো নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জলরঙ অ্যাক্রিলিক দুটো নিয়েই কাজ করি। তবে আমার জলরঙয়ে কাজ করতে অনেক ভালো লাগে। আর শীতকাল আমার পছন্দ হওয়ার পেছনে কারণ হলো শীতে জলরঙটা বেশ ভালোভাবে বসে। ছবি সুন্দর হয়, যা গরমে হয় না। ২০২৩-এর ডিসেম্বরে করা আমার বেশ পছন্দের কিছু ছবি আছে, যার মধ্যে দুটি আছে জাহাঙ্গীরনগরে আঁকা এবং দুটি নুহাশ পল্লীতে বসে আঁকা।

শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেছেন শানজিদ অর্ণব, আহমেদ দীন রুমি ফারিহা আজমিন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন