‘গুন্ডে’ ফিরিয়ে দিয়ে ডুবতে বসেছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: এনডিটিভি

বলিউডে ক্যাটরিনা কাইফের ক্যারিয়ার দুই দশক হতে চলল। অভিনয় ও হিন্দি উচ্চারণে জড়তাসহ বি গ্রেডের সিনেমার মাধ্যমে তার শুরু। তবে বর্তমানে তিনি হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম নায়িকা। 

ধারণা করা হয়, ক্যাটরিনার অধ্যবসায়ের সঙ্গে সহায় হয়েছে সালমান খান ও ইয়াশরাজ ফিল্মসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়ার সুদৃষ্টি। তবে এমন এক ঘটনা ঘটেছিল যে মনে করা হচ্ছিল, ইয়াশরাজের ছবিতে বোধহয় এ নায়িকাকে আর দেখা যাবে না।

এ প্রোডাকশন হাউজ থেকে নিউইয়র্ক, মেরে ব্রাদার কি দুলহান, জব তক হ্যায় জান, এক থা টাইগার ও ধুম থ্রির মতো হিট সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন অতীতে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে পেয়েছিলেন আরো দুই শুভাকাঙ্ক্ষীকে। ‘নিউইয়র্ক’-এর পরিচালক কবির খান ও ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহান’-এর আলি আব্বাস জাফর এ নায়িকার ভাইয়ে পরিণত হন। ‘টাইগার’ সিরিজের প্রথম দুই সিনেমা যথাক্রমে দুই পরিচালক নির্মাণ করেন।

‘মেরে ব্রাদার কি দুলহান’ পরবর্তী আলি আব্বাস জাফরের ‘গুন্ডে’ ছবির জন্য ক্যাটরিনাকে চেয়েছিলেন আদিত্য চোপড়া। দুটি কারণে নিশ্চিত ছিলেন যে ছবিটি এ নায়িকা করছেন। কারণ ’গুন্ডে’র চিত্রনাট্য লেখা হয়েছিল ক্যাটরিনার বাসায়। এছাড়া আলি আব্বাস জাফরকে ভাই মনে করেন তিনি।

কিন্তু অকল্পনীয় ঘটনা ঘটল। রণবীর সিং ও অর্জুন কাপুরের মতো নবাগতের বদলে অন্তত একজন বড় তারকাকে চেয়েছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। এমন ঘটনায় আদিত্য চোপড়া আর সামনে এগোননি। প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে সিনেমাটি করেন।

এদিকে গোপনে হৃতিক রোশনের সঙ্গে ’ব্যাং ব্যাং’-এর জন্য সিদ্ধার্থ আনন্দকে শিডিউল দেন ক্যাটরিনা। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছিল, ওয়াইআরএফের সিনেমায় তাকে আর দেখা যাবে না। কিন্তু আলি আব্বাস জাফর পরিচালিত ’টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবিতে ফিরে আসেন তিনি। পরে আমির খানের সঙ্গে ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’ ও সাম্প্রতিক ‘টাইগার থ্রি’ করেন।

’গুন্ডে’ ফিরিয়ে দেয়ায় এখনো পর্যন্ত রণবীর সিং ও অর্জুন কাপুরের সঙ্গে কাজ করা হয়নি ক্যাটরিনা কাইফের। সাম্প্রতিক লাইনআপেও দুই তারকার সঙ্গে কাজের ইঙ্গিত নেই।

গত ১২ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত ‘মেরি ক্রিসমাস’। এ সিনেমায় বিজয় সেতুপতির বিপরীতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ। এছাড়া ‘টাইগার’ সিরিজের পরের ছবি ও স্পিনঅফে দেখা যেতে পারে তাকে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন