২০১৬ সালের ২৬ জুলাই গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশের প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি। তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদ ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য। সময়ের চাহিদা বিবেচনায় ব্যতিক্রমী এক কারিকুলাম প্রণয়ন করেছে দেশের প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ কারিকুলাম প্রণয়নে কাজ করেছেন দশটি দেশের বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কারিকুলামে সংযুক্ত করেছে পার্টটাইম জবের সুযোগ। এমন সৃজনশীল কারিকুলাম পেশাজীবনে এগিয়ে রাখবে শিক্ষার্থীদের। মিলবে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা।
একজন শিক্ষার্থী চাইলে যখন লেভেল টু বা লেভেল থ্রি উত্তীর্ণ হবেন তখন ইন্ডাস্ট্রিতে যোগদান করতে পারবেন। চার বছরের অনার্সে দুইবার এ সুযোগ রয়েছে। ছয় মাস বা এক বছরের জন্য যেকোনো ইন্ডাস্ট্রিতে পার্টটাইম জব করতে পারবেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে না। শিক্ষার্থীরা ইন্ডাস্ট্রি থেকে হাতেকলমে শিখে নিজের দক্ষতা উন্নয়ন করে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি কোর্সগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত অনার্সের শেষ সেমিস্টারে বা অনার্স শেষে ইন্টার্নশিপের সুযোগ থাকে। কিন্তু বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর এ বিষয়ের ওপর বিশেষভাবে জোর দেন। তৈরি করেন নতুন ধারার এক সৃজনশীল কারিকুলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির অন্যতম উদ্দেশ্য। সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জন ও বিকাশে শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা কারিকুলাম সংশোধন করেছি। একজন শিক্ষার্থী অনার্স লাইফে দুইবার পার্ট টাইম জবের সুযোগ পাবেন। আমরা চাই, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমির কোলাবরেশনের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু থিওরি না শিখে হাতেকলমে কাজ শিখতে পারে। কর্মক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো জেনে এসে পরবর্তী সময়ে নিজের প্রজেক্ট ও থিসিসে কাজে লাগাতে পারে। নিজেকে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রস্তুত করতে পারে।’