প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন

প্রত্যাশার তুলনায় ঊর্ধ্বমুখী চীনা ইস্পাতের চাহিদা

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রথম প্রান্তিকে চীনে ইস্পাতের চাহিদা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। দেশটির শিল্প সংস্থা চীনা আয়রন অ্যান্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন (সিআইএসএ) জানিয়েছে, প্রত্যাশার তুলনায় বেড়েছে ইস্পাতের চাহিদা। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় চাহিদা বেড়েছে দশমিক শতাংশ। গত বছর কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ থাকায় চাহিদা কম ছিল ধাতুটির। খবর রয়টার্স।

সিআইএসএ কর্তৃপক্ষ প্রথম প্রান্তিকের তথ্য প্রকাশের সময় জানায়, বছরের প্রথম তিন মাসে দেশটিতে ইস্পাতের চাহিদা ছিল ২৪ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কঠোর কভিড বিধিনিষেধের কারণে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশটি বেশ চাপে পড়ে। সময় অবকাঠামো নির্মাণ কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হয়। তবে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় থাকায় ধাতুটির চাহিদা কিছুটা বেড়েছে।

সিআইএসএ প্রধান অর্থনীতিবিদ ওয়াং ইয়িংশেং বলেন, ‘প্রথম প্রান্তিকে ইস্পাতের চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর আগে আমরা ভেবেছিলাম এটি চলতি বছর স্থিতিশীল থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুটা বেড়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত সরকারি তথ্যানুসারে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ইস্পাত উৎপাদন দশমিক শতাংশ বেড়ে ২১ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। কারখানাগুলো আরো শক্তিশালী চাহিদার প্রত্যাশায় উৎপাদন বাড়িয়েছে।

সাংহাই ফিউচার এক্সচেঞ্জে মার্চের শেষের দিকে রিবার মূল্য সূচক টনপ্রতি প্রায় ১০ শতাংশ কমে ৫৩৭ ডলার ৩৪ সেন্টে পৌঁছে। ওয়াং বলেন, ‘মূল সমস্যাটি হয়েছে সরবরাহকারীদের দিক থেকে।ব্যবসায়ী ক্রেতারা দুর্বল বাজারের মুখে একটি সতর্ক অবস্থান নেন। ফলে ইস্পাতের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে প্রভাবিত হয়। পরিস্থিতিতে সিআইএসএ দেশীয় ইস্পাত নির্মাতাদের স্থিতিশীল নগদ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য উৎপাদন কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন