পুঁজিবাজারে টানা দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পুঁজিবাজারে টানা চার কার্যদিবস ধরে দরপতন চলছে। সময়ে ১০০ পয়েন্ট হারিয়েছে সূচক। গতকাল প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার সিএসইতেও গতকাল সূচক লেনদেন কমেছে। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কারণে বাজারে নিম্নমুখিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর পর প্রথম ঘণ্টা পর্যন্ত আগের দিনের তুলনায় ইতিবাচক অবস্থানে ছিল ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। এর পর থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে শুরু করে সূচকটি। একসময় আগের দিনের তুলনায় ৫০ পয়েন্ট কমে যায় সূচকটি। অবশ্য শেষ ঘণ্টার ক্রয়চাপের কারণে পতনের তীব্রতা অনেকটা কমে আসে। শেষ পর্যন্ত গতকাল দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে হাজার ৪০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল সামান্য বেড়ে হাজার ২৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে কিছুটা বেড়ে হাজার ৪০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ইনফিউশন, কোহিনূর কেমিক্যালস বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আসন্ন আর্থিক ফলাফল নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নিস্পৃহ মনোভাব দেখা যাচ্ছে। কারণে তারা পোর্টফোলিও পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। বিদ্যমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ নিয়েও তাদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। সব মিলিয়ে বিষয়গুলোরই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। এতে টানা চার কার্যদিবস ধরে নিম্নমুখিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে। ডিএসইতে গতকাল হাজার কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৬৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ১০০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২২০টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ রসায়ন খাত। গতকাল পুঁজিবাজারে পাট খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে দশমিক শতাংশ নেতিবাচক রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল কাগজ মুদ্রণ খাত।

সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ২৫ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৩০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ৪১ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৮৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২০০টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ৮০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৮৪টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ৪১ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬৯ কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন