বাতিল হওয়া ত্রয়োদশ সংশোধনীর আলোকেই বিএনপি সময়মতো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা আপনারা সময়মতোই জানবেন। যুগপৎ আন্দোলন শুরু করলেই জানতে পারবেন। আর আমাদের রূপরেখায় থাকবে সংবিধানের ৫৮(খ), (গ)... যেটা সংবিধানের (দ্বাদশ সংশোধনী) ছিল। তারই আলোকে এ রূপরেখা হবে। তিনি বলেন, ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নিরঙ্কুশ আসনে বিজয়ী হয়ে ১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রক্ষিতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মির্জা ফখরুল। প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, আ হ ম জহির হোসেন হাকিম, নবী চৌধুরী, শরিফ মনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, ফরিদউদ্দিন, ফখরুজ্জামান, হাসিবুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ। একই দিন সকাল ১০টায় বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গেও বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ফারুক রহমান, এসএম ইউসুফ আলী, আমিনুল ইসলাম রাজু, আলাউদ্দিন আলী, জহিরুল হক, আমিনুল ইসলাম, রামকৃষ্ণ সাহা, হুমায়ুন কবির ও খন্দকার মিরাজুল ইসলাম।
দুই বৈঠকেই বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আজকে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির যুগপৎ আন্দোলনের দাবিনামা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা যে দাবিগুলোর খসড়া নিয়ে আলোচনা করেছি, এর ভেতরে প্রধানগুলোর মধ্যে—অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ, একটা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সংসদ বাতিল, নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছি। অন্য দলগুলোর সঙ্গেও ধারাবাহিক আলোচনা শেষে দাবিগুলো চূড়ান্ত করে আমরা যুগপৎ আন্দোলনে এগিয়ে যাব। দ্বিতীয় দফা সংলাপে এরই মধ্যে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), এলডিপি ও কল্যাণ পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।
