সপ্তাহের শুরুতেই পুঁজিবাজারে নিম্নমুখিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল নিম্নমুখিতার মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৭৪ শতাংশ পয়েন্ট হারিয়েছে। অবশ্য সূচক কমলেও গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও দৈনিক লেনদেন বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষকেররা বলছেন, হাতে গোনা কিছু শেয়ারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে পুঁজিবাজার। কোম্পানিগুলোই সূচকের ওঠা-নামায় ভূমিকা রাখছে। এর বাইরে অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। কারণে নতুন শেয়ার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নির্লিপ্ততা পরিলক্ষিত হয়েছে। এর পরিবর্তে তারা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা নিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর মিনিট পরই পয়েন্ট হারাতে শুরু করে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও সকাল ১০টা মিনিট থেকেই আবার নিম্নমুখী হতে শুরু করে সূচক। দিনভর অস্থিরতা শেষে গতকাল আগের দিনের তুলনায় ৪৯ পয়েন্ট কমে হাজার ৫১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স, আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৩৬ পয়েন্ট কমে হাজার ৩৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ১৬ পয়েন্ট কমে হাজার ৪২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে, আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৪৩৭ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো লিমিটেড জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানেজমেন্টের শেয়ারের।

ডিএসইতে গতকাল হাজার ৮১০ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৭০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৯৩টির, কমেছে ১১৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬০টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে বিবিধ খাত। ১১ দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাত। আর ভ্রমণ অবকাশ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ। গতকাল পুঁজিবাজারে ভ্রমণ অবকাশ খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন ছিল বিবিধ খাতে দশমিক শতাংশ। সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৯৮ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১১ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ১৬২ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১৯ হাজার ৩৪৫ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৪০টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ৮৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৮৩টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ১২৬ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৯৯ কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন