ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ হারের ব্যর্থতায় মাহমুদউল্লাহকে টি২০ দলের
নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এরপর জিম্বাবুয়ে সফরে টি২০ দলনায়ক করা হলো নুরুল
হাসান সোহানকে। কিন্তু তখনই জানা গিয়েছিল, সোহানকে মূলত অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক করা হয়েছে এবং আসন্ন এশিয়া কাপে
দায়িত্ব পাবেন অন্য কেউ। তবে কাকে এই ফরম্যাটের নেতৃত্ব দেয়া হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছছে
পারেননি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)
কর্মকর্তারা।
আজ বৃহস্পতিবার বোর্ডপ্রধান নাজমুল হাসান বললেন, এই মুহূর্তে তারা নিজেরাও জানেন না কে
হবেন বাংলাদেশের টি২০ অধিনায়ক।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ মাসের শেষ দিকে শুরু হবে এশিয়া কাপ। দল ঘোষণার
শেষ দিনও এগিয়ে আসছে। বাংলাদেশের দল গঠনের কাজও শেষের দিকে। তবে বিসিবি এখনো ঠিক
করতে পারেনি,
কে হবেন
অধিনায়ক। আপাতত চারজন সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকলেও বোর্ড কর্তারা ঠিক করে উঠতে পারছেন
না, কে হবেন অধিনায়ক।
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার শেষ সময় আগামী সোমবার। আজ বিসিবির পরিচালনা
পর্ষদের সভা শেষে পাপন বললেন, টি২০ অধিনায়ক ঘোষণার সময় হয়নি এখনো। দল (নির্ধারিত সময়ের) আগেই দিয়ে দেয়া হবে। দু-তিনদিনের মধ্যেই দিয়ে দেয়া হবে। এটা
নিয়ে কথা বার্তা হচ্ছে। আজ
(গতকাল) এটা নিয়ে আলাপ করতেও চেয়েছিল। আমি
যেহেতু বাইরে চলে যাচ্ছি আমি বলে দিয়েছি, সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিতে।
সংক্ষিপ্ত তালিকাও প্রকাশ করেন পাপন। তিনি বলেন, মাহমুদউল্লাহর নাম আছে। সাকিব আল
হাসানের নাম নিশ্চিতভাবেই আছে। অস্বীকার করার কিছু নেই। লিটন দাস আগে থেকেই ছিল।
এখন তো দেখছি নতুন করে যোগ হচ্ছে সোহান। অনেকে মনে করছে সোহানও ভবিষ্যতে হতে পারে।
একজন অধিনায়ক হলে আরেক জন তো সহ-অধিনায়ক হবে। আমরা এখনো চূড়ান্ত করিনি। যাকেই বানাই না কেন, তার সঙ্গে কথা বলতে হবে তো আগে। তার
সঙ্গে কিছু শর্ত তো বোর্ডের ঠিক করে নিতে হবে।
এদিকে,
বেটিং
সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে বিসিবির অনুমোদন নেননি সাকিব
আল হাসান। শেষ পর্যন্ত এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাকিবের চুক্তির ব্যাপারটি
সত্যি হয়ে থাকলে,
এ ব্যাপারে
ব্যবস্থা নেবে বিসিবি। বোর্ডসভা শেষে এমনটাই জানান হাসান।
সম্প্রতি
‘বেটউইনার নিউজ’ নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে পণ্যদূত
হিসেবে চুক্তি করেন সাকিব। তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ-সংক্রান্ত পোস্টও করা হয়েছে। তিনি
টুইটও করেন। কিছুক্ষণ পর মুছে ফেলেন, যদিও পরে আবার তা পোস্ট করেন।
বেটউইনার নিউজ খেলাধুলার সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইট হলেও মূলত বেটউইনার নামে
একটি বেটিং কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠান। পাপন বলেন, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে সভায়। সাধারণত
যেকোনো বাণিজ্যিক চুক্তির ক্ষেত্রে বিসিবির অনুমোদন নিতে হয় চুক্তিবদ্ধ
খেলোয়াড়দের। তবে এ ক্ষেত্রে সাকিব সেটি নেননি। আমাদের অনুমতি নেয়ার প্রশ্নই ওঠে
না। কারণ,
আমরা অনুমতি
দেবই না। যদি বেটিং
(সংশ্লিষ্ট) হয়ে থাকে, অনুমতি তো দেবই না। এটার মানে হচ্ছে, আমাদের কাছে অনুমতি চায়নি। এরকম কিছু
হলে সাকিবকে নোটিশ পাঠানো হবে। তবে তার আগে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায়
বোর্ড।