সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেড ও উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের শেয়ারদর ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার পেছনে কোনো ধরনের অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চিঠির জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি তিনটি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ বছরের ২৬ মে থেকেই ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪১ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে ৬১ টাকা ৬০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। এ বছরের ২৬ মে থেকেই ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও ক্রমেই বাড়ছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮৬ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৪২ পয়সায়।
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্সের শেয়ারদর গত ২৬ মে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১ হাজার ৪০১ টাকা ২০ পয়সা। সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে ১ হাজার ৯৩২ টাকা ৪০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। এ বছরের ২৬ মে থেকেই ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও ক্রমেই বাড়ছে।
চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ)
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্সের আয় হয়েছে ৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭২ শতাংশ কমেছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ টাকা ৬৯ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮২ টাকা ৫০ পয়সায়।
এ বছরের ২৩ মে থেকেই ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরির শেয়ারদর। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫৭ টাকা ৯০ পয়সা। সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে ৭১ টাকা ৩০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি এ সময়ে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও ক্রমেই বাড়ছে।
চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ)
উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৪ টাকা ৮৮ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭৩ পয়সা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা ৫৩ পয়সায়।