ময়মনসিংহে বিদ্যুত্স্পৃষ্টে তিনজনের মৃত্যু

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে চলন্ত ভ্যানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন চালকসহ দুজন। গতকাল সকাল ৬টার দিকে নগরীর শম্ভুগঞ্জ চায়নামোড় এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সদরের চর ঈশ্বরদিয়া এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে ভ্যানচালক মিন্টু মিয়া (৩৬) চর নিলক্ষীয়া এলাকার মৃত আইন উদ্দিনের ছেলে শহিদ (৪৭) এছাড়া ময়মনসিংহের তারাকান্দায় পাখির বাচ্চার খাবারের জন্য ফড়িং ধরতে গিয়ে ঝড়ে ঝুলে পড়া বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে শরীফ মিয়া () নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের ঘিটুয়ারী গ্রামের চক্ষু হাসপাতালের পাশে ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ঈশ্বরদিয়া এলাকা থেকে এক যাত্রী নিয়ে ভ্যানচালক মিন্টু মিয়া নগরীর শম্ভুগঞ্জ চায়নামোড় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সময় প্রবল ঝড়বৃষ্টির কারণে একটি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ভ্যানের ওপর পড়ে।

এতে ভ্যানটি বিদ্যুতায়িত হলে ঘটনাস্থলেই ভ্যানযাত্রী চালক মৃত্যুবরণ করেন। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভ্যানচালক একজন যাত্রী নিয়ে চায়নামোড় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সময় ঝড়ে ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তার ওই ভ্যানের ওপর পড়ে। এতে ওই তারে জড়িয়ে দুজনই প্রাণ হারান। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ে তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের ঘিটুয়ারী গ্রামের চক্ষু হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় মৃত সাজিদ মিয়ার বিদ্যুতের তার ঝুঁলে যায়। শুক্রবার সারা দিনেও বিদ্যুতের তার ঠিক করা হয়নি। পাশের চান্দপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে শরীফ মিয়া () পাখির বাচ্চা লালনপালন করত। বিকালের দিকে সে পাখির বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য ফড়িং ধরতে বিয়ে ঝুলে থাকা তারে জড়িয়ে গেলে বিদ্যুত্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শরীফ। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ওই শিশুর মা-বাবাকে খবর দেন। পরে তারা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। বিসকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাকের আহমেদ বাবুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন