চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলংকার ৩৯৭ রানের জবাবে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে ৪৬৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দুই সেঞ্চুরি ছাড়াও লিটন দাস (৮৮) ও মাহমুদুল হাসানের (৫৮) হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে আজ চতুর্থ দিন ৬৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। এরপর ৩৯ রানে অতিথিদের দুই উইকেট তুলে নিয়ে এগিয়ে থাকল স্বাগতিকরা।
ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করার দিনই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রানের অভিজাত ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৫৩ রান নিয়ে আজ ব্যাটিং শুরু করা মুশফিক ১৫ রান যোগ করেই মাইলফলকে পৌঁছেন। এরপর তুলে নিয়েছেন টেস্টের অষ্টম সেঞ্চুরিও। মুশফিকের দৃঢ়তায় চারশ পেরিয়ে লিড নেয় বাংলাদেশ।
ক্যারিয়ারের ৮১তম টেস্টে এই মাইলফলকে পৌঁছান মুশফিক। ৩৫ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের টেস্ট অভিষেক ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে। টেস্টে তার সেঞ্চুরি ৮টি, আর হাফ সেঞ্চুরি ২৫টি। সর্বোচ্চ ইনিংস ২১৯ রান। দুটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক তিনি। এছাড়া ওয়ানডেতে ৬ হাজার ৬৯৭ ও টি২০তে ১ হাজার ৪৯৫ রান করেছেন মুশফিক।
আজ রাজিথার বলে ফাইন লেগে দুই রান নিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যান মুশফিক। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ হাজার রান করার রেসে তিনি হারিয়ে দিলেন তামিম ইকবালকে।
তৃতীয় দিন ১৩৩ রানে অপরাজিত থেকে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া তামিম ইকবালের ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে প্রয়োজন ছিল আর ১৯ রান। যদিও আজ তিনি কোনো রান যোগ না করেই আউট হয়ে যান কাসুন রাজিথার বলে। তামিমকে বোল্ড করেন রাজিথা।
বিশ্ব ফার্নান্দোর অসুস্থতায় ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে নামা কাসুন রাজিথা চারটি উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছেন। ৩১৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা মুশফিক ও লিটন দাস ভালোই টানছিলেন দলকে। স্কোরটা ৩৮৫ রানে নেয়ার পর লিটনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান রাজিথা। ১৮৯ বলে ৮৮ রান করেন লিটন। পরের বলেই রাজিথা বোল্ড করেন তামিমকে। ২১৮ বলে ১৩৩ রান করা তামিমের অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসেই সুযোগ রয়েছে ৫ হাজারি ক্লাবে নাম লেখানোর।
দলীয় ৩৮৫ রানে তামিমের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান (২৫) ও তাইজুল ইসলামের (২০) ব্যাটে ভর করে চারে চারশ পেরোয়া বাংলাদেশ। এরপর বোলিংয়ে নেমে তাইজুলের কৃতিত্বে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩৬ রানে ওশাদা ফার্নান্দোকে রানআউট করার পর দিনের শেষ বলে নাইটওয়াচম্যাচ লাসিথ এমবুলদেনিয়াকে বোল্ড করে তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলংকা: ৩৯৭ ও ৩৯/২ (দিমুথ ১৮*; তাইজুল ১/০)। বাংলাদেশ: ৪৬৫ (তামিম ১৩৩, মুশফিক ১০৫, লিটন ৮৮, জয় ৫৮; কাসুন ৪/৬০, আসিথা ৩/৭২)। —চতুর্থ দিন শেষে।