মিরপুর টেস্টে পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ও ৮ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে চার উইকেটে ৩০০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। স্বাগতিকরা প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনের লজ্জায় পড়ে। ২১৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২০৫ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের অংশ হিসাবে অনুষ্ঠিত দুই টেস্টের সিরিজও ২-০ জিতে নিলো বাবর আজমের দল।
প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় শুরু হয় দ্বিতীয় ইনিংস। ২৫ রান তুলতেই চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অভিষেক হওয়া মাহমুদুল হাসান জয় আগের ইনিংসে ডাক মারার পর এই ইনিংসে ফিরেছেন ৬ রানে। সাদমান ইসলাম ২, নাজমুল হোসেন শান্ত ৬ ও মুমিনুল হক ফিরেছেন ৭ রানে। পুরো সিরিজেই বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটার ছিলেন ফ্লপ। পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। দু’জনে জুটিতে তোলেন ৭৩ রান। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে সাজিদ খানের শিকার হন লিটন। পরের জুটিতে মুশফিক-সাকিব ম্যাচ বাঁচানোর আশা দেখাচ্ছিলেন। চা বিরতির ঠিক আগে ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটন হন মুশফিক। ১৩৬ বলে ৪৮ রান করেন এ মিডলঅর্ডার ব্যাটার। ইনিংসে ছিল ৩টি চারের বাউন্ডারি। সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সাকিব। কিন্তু দলীয় ১৯৮ রানের মাথায় এ জুটি ভাঙেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। মিরাজকে ১৪ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব সংস্করণ মিলিয়ে এটি বাবরের প্রথম উইকেট শিকার। দারুণ ব্রেক থ্রু দিয়ে মেইডেন উইকেট নেন পাক অধিনায়ক। পরের ওভারেই সাকিবকে বোল্ড করেন সাজিদ খান। আউট হওয়ার আগে টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৬তম ফিফটি করে যান সাকিব। ১৩০ বল মোকাবেলায় ৯টি চারে ৬৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শুধু তাই নয়, এ টেস্ট তামিম ইকবাল ও মুশফিকের পর তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ৪০০০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। যা করতে তাকে খেলতে হয়ছে ৫৯টি টেস্ট ম্যাচ।
সাকিবকে ফেরানোর পর খালেদ আহমেদকেও শূন্য রানে ফেরান সাজিদ। শেষ উইকেট তাইজুল ইসলামকে ৫ রানে ফিরিয়ে টেস্টের সমাপ্তি ঘটান পাকিস্তানের এই অফ স্পিনার। প্রথম ইনিংসে আট উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে সাজিদ খানের শিকার চার উইকেট। এছাড়া হাসান আলী, শাহিন শাহ আফ্রিদি দু’টি ও বাবর একটি উইকেট নেন।