মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে: ডিবি প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, মূলত সংবাদমাধ্যমে মিল্টনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর রিমান্ডে এনে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। আমরা সব অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করব।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন তার বাবাকে পেটানোর পর এলাকাবাসী তাকে পিটিয়ে এলাকা থেকে বের করে দেয়। এর পর সে শাহবাগে ওষুধের দোকানে কাজ করত। পরে ওষুধ চুরির অভিযোগে কাজ হারায়। পরে কিছু লেখাপড়াও করে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে এসেছে তার ওখানে অপারেশন থিয়েটার আছে। সে বেশির ভাগ লাশ রাতে দাফন করে। আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না বলে গণমাধ্যমে এসেছে। নিজেই ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে ডাক্তারের সিল ছাপ্পড় জাল করে। সে ৯০০ লাশ দাফন করলেও ৮০০ লাশের ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। যারা লাশের গোসল দিয়েছে তারা কিডনির পাশে রক্তের দাগও পেয়েছে। তাকে আমরা ডিজজ্ঞাসাবাদ করব তিনি ডেথ সার্টিফিকেট নেন না কেন।

সাভার ও মিরপুরে মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্র থাকার তথ্য তুলে ধরে ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, সে বলে ৬-৭শ লোক সেখানে থাকে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে ৩০-৪০ জনের বেশি নেই। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে চাইব কত সংখ্যক মানুষ তার ওখানে ছিল, মারা গেল কতজন। তিনি কিডনি বিক্রি করেন কিনা- এসব আমরা তদন্ত করব। এ ধরনের প্রশ্নগুলো আসার পরেই আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি।

উল্লেখ্য, ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। বুধবার (১ মে) দিবাগত রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন