দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পূজার ছুটিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা থাকলেও ঘটেছে উল্টো ঘটনা। পাঁচদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিতে ৫-৬ টাকা করে কমেছে।
বন্দরসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। পূজার ছুটি শুরু হওয়ার আগে বন্দর দিয়ে ব্যাপক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ কারণে দাম কমেছে।
জানা যায়, পাঁচদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৪৮-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে পণ্যটির দাম কমে ৪২-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম কমায় খুশি ক্রেতারা। পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ইয়াসিন আলী বলেন, যে হারে মসলাজাতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বাড়ছিল, তাতে করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ পেঁয়াজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। দাম বাড়ার কারণে পেঁয়াজ কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিলাম। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এতে দুশ্চিন্তা কিছুটা লাঘব হয়েছে। তবে যেভাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকার পেঁয়াজ ৬০ টাকা হয়ে গিয়েছিল সেভাবে তো কমছে না। দাম আগের মতো ৩০ টাকায় এলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। সরকার পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার করল, এ সুবিধা যেন আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা পান। পেঁয়াজের দাম যেন আরো কমে সে দাবি জানাচ্ছি।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান ও ফিরোজ হোসেন বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে ১১ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি-রফতানি বন্ধের আগের দিন বন্দর দিয়ে ৪২টি ট্রাকে ১ হাজার ১৪৪ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। স্থানীয় পেঁয়াজ আমদানিকারকদের গুদামে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজের মজুদ রয়েছে। কিন্তু বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার কারণে যে পরিমাণ চাহিদা থাকার কথা, সে পরিমাণ চাহিদা নেই। ক্রেতা না থাকায় পেঁয়াজের বিক্রি তেমন নেই। এর ওপর অতিরিক্ত গরমের কারণে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ায় আড়তগুলোতে দাম কমেছে। আমরা আগের চেয়ে কম দামে পাচ্ছি বিধায় কম দামে বিক্রি করছি। এছাড়া কিছু পেঁয়াজ পচে নষ্ট হওয়ায় গুদামে সেগুলো ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সরকার পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। ফলে পূজার বন্ধ শেষে পেঁয়াজ দেশে ঢুকলেই দাম আরো কমে আসবে। দাম আরো কমার আশায় অনেকে পেঁয়াজ কিনছেন না। এ কারণে ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে।
