স্কুলভবন নির্মাণে অনিয়মে বাধা দেয়ার জের

মাগুরায় প্রকৌশলীর ওপর ঠিকাদারের প্রতিনিধির হামলা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, মাগুরা

মাগুরায় স্কুল ভবনের ছাদ ঢালাই কাজে অনিয়মে বাধা দেয়ায় শিক্ষা অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীকে পিটিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার পোড়াগাছি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার চার তলাবিশিষ্ট ভবনের প্রথম তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সরকারি বিধিমোতাবেক কাজের গুণগতমান নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রুহলকে অবহিত করেন প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুহল প্রকৌশলীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি মারতে উদ্যত হয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিদ্যালয়ের ঢালাই কাজ শেষে মাগুরার হাজি সাহেব সড়কে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিসে ফেরার পথে মাগুরা যশোর মহাসড়কের মঘির ঢাল নামক স্থানে পৌঁছলে জাহিদুল ইসলাম তার সহকারী সুমনকে তিনটি মোটরসাইকেল যোগে রুহল, খাইরুল ইসলামসহ অজ্ঞাত পাঁচজন গতিরোধ করে অতর্কিত আক্রমণ করে পিটিয়ে আহত করে। তাদের চিত্কারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যায়।

ব্যাপারে উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানান, সরকারি বিধিমোতাবেক ছাদ ঢালাই কাজে প্রতি বস্তা সিমেন্টের সঙ্গে ছয় ফেরা (কড়াই) খোয়া এবং ছাদের থিকনেস ১২০ মিলিমিটার হবে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিনিধি রুহল ছয় ফেরার স্থলে বস্তাপ্রতি আট ফেরা (কড়াই) এবং ছাদের থিকনেস ১২০ মিলিমিটারের স্থলে ১১০ মিলিমিটার করছিল। অনিয়মে বাধা দেয়ায় তারা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে জীবননাশের হুমকি দেয় এবং কাজ পরিদর্শন শেষে মাগুরা অফিসে ফেরার পথে মঘির ডাল নামক স্থানে পৌঁছলে আমাদের ওপর হামলা চালায়।

শালিখা পোড়াগাছি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনারা নাসরিন জানান, ছাদ ঢালাইয়ের কাজে বালি খোয়া পরিমাণে বেশি দেয়ায় ইঞ্জিনিয়ার বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে আহত করে। তিনি প্রাণভয়ে আমার অফিস কক্ষে আশ্রয় নেন। কাজ শেষে মাগুরার অফিসে যাওয়ার সময় তারা রাস্তায় আবারো ইঞ্জিনিয়ারদের মারধর করেছে বলে জানতে পারি। এর আগে শিক্ষকরা কাজ দেখাশোনা করায় তাদেরও হুমকি দেয়া হয়েছে।

মাগুরা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করলে তিনি শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

ঠিকাদার সহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাগুরার মাজেদুল ইসলাম ঝন্টুর কাছে আমি কাজটি বিক্রি করে দিয়েছি। কাজটি তিনি তার লোক দিয়ে করছেন। আমি বা আমার কোনো লোক কাজ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।

শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাতেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্র শালিখা থানাকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন