টেসলার পুরো সুপারচার্জার বিভাগকে ছাঁটাই

বণিক বার্তা ডেস্ক

টেসলার একটি চার্জিং স্টেশন ছবি: রয়টার্স

বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক কাটছাঁটের মধ্যে যাচ্ছে। এর মধ্যে নতুন খবর হলো সুপারচার্জার বিভাগের পুরো দলকে ছাঁটাই করেছে ইলোন মাস্কের প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেসলার সুপারচার্জার বিভাগের কর্মীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি।

বিশ্বব্যাপী টেসলার ৫০ হাজারেরও বেশি সুপারচার্জার রয়েছে। বিস্তৃত পরিসরে পরিচালনার মাধ্যমে ইভির জন্য বিশ্বের বৃহত্তম দ্রুত চার্জিং নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে এ প্লাটফর্মগুলো।৷

টেসলার সিইও ইলোন মাস্ক সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানান, কোম্পানিটির কর্মী সংখ্যা ১০ শতাংশ কমানো হবে। মূলত প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো মূল্য কমিয়ে দেয়ায় সে পথে হাঁটতে হচ্ছে টেসলাকে। তীব্র প্রতিযোগিতার এ প্রভাব কোম্পানিটির আয় থেকে পুরো ব্যবস্থাপনায় প্রভাব ফেলেছে।

সুপারচার্জার বিভাগের মূল কাজ হলো চার্জারের নকশা প্রণয়ন ও বিশ্বব্যাপী প্রয়োগে দেখভাল করা। এ বিভাগের বেশকিছু কর্মী পদত্যাগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। এ সিদ্ধান্তে কয়েকশ কর্মী প্রভাবিত হয়েছেন। টেসলার স্ট্র্যাটেজিক চার্জিং প্রোগ্রামের প্রধান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, পুরো দলই চলে গেছে।

তবে এক্স পোস্টে ইলোন মাস্ক বলেছেন, টেসলা এখনো সুপারচার্জার নেটওয়ার্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এক্ষেত্রে ধীর চলো নীতিতে হাঁটবে।

এদিকে সুপারচার্জার বিভাগের কাটছাঁটের পাশাপাশি ফার্মের সম্পূর্ণ পাবলিক পলিসি ইউনিটও পরিবর্তন করা হবে বলে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা টেসলার এ সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য ক্রেতাদের আস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এসব ঘটনায় ভবিষ্যতে টেসলা ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

টেসলার চার্জিং নেটওয়ার্ক ইভি খাতে শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোও ব্যবহার করে আসছে। তবে সম্প্রতি উত্তর আমেরিকার বেশ কয়েকটি গাড়ি নির্মাতার সঙ্গে এনএসিএস চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড চুক্তি থেকে সরে এসেছে টেসলা। ফলে ওইসব কোম্পানি টেসলার চার্জিং সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে না।

মার্কিন নিয়ন্ত্রকদের কাছে থাকা তথ্যানুযায়ী, টেসলায় গত বছরের শেষের দিকে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি কর্মী ছিল। ২০২১ সালের শেষের দিকে এ সংখ্যা প্রায় এক লাখ।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে টেসলা। যার প্রভাব পড়েছে কোম্পানির আয় ও মুনাফায়। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় অটোমোটিভ খাতে বিক্রি কমেছে ১৩ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে বিক্রি কমেছে ৯ শতাংশ। মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ১১৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আগের বছর একই সময়ে মুনাফা করেছিল ২৫১ কোটি ডলার। এছাড়া চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদরের পতন হয়েছে ৩২ শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন