গাইবান্ধায় ধান কাটা-মাড়াইয়ে খরচ বেড়েছে কৃষকের

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

অতিরিক্ত গরমে গাইবান্ধায় ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক মিলছে না ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

উত্তরাঞ্চলের কৃষিনির্ভর জেলাগুলোর মধ্যে গাইবান্ধা অন্যতম। এ জেলায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বেশি আবাদ হয় বিভিন্ন জাতের ধান। সপ্তাহখানেক আগে ফসলের মাঠ সবুজ থাকলেও এখন ধানের শীষে ধরেছে সোনালি রঙ। এরই মধ্যে ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষক। তবে অতিরিক্ত গরমে পর্যাপ্ত শ্রমিক মিলছে না। কিছু শ্রমিক পাওয়া গেলেও বাড়তি পারিশ্রমিক গুনতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়েছে কৃষকের।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর। এর মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৩০০ হেক্টর, ফুলছড়িতে ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর, সাঘাটায় ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর, পলাশবাড়ীতে ১১ হাজার ৮০৫ হেক্টর, গোবিন্দগঞ্জে ৩১ হাজার ১০৫ হেক্টর, সাদুল্যাপুরে ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আবাদ হয়েছে ২৬ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমি।

পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার জামিরা গ্রামের নজরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এবার আবহাওয়া মোটামুটি ভালো রয়েছে। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদের পারিশ্রমিক অনেক বেশি দিতে হচ্ছে।’

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে অর্জন হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে। এবার ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবেন এবং দামও ভালো পাবেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন