এলপিজি নিয়ে লোয়াবের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় : বিইআরসি

বণিক বার্তা অনলাইন

দাম সংশোধন নিয়ে এলপিজি  অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব) যে প্রস্তাব দিয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।  লোয়াবের প্রস্তাব অনুযায়ী ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ২৬২ টাকা

গত ১২ এপ্রিল এলপিজির দাম নির্ধারণ করে ঘোষণা দেয় বিইআরসি। বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজির দাম প্রতি কেজি ৭৬ টাকা ১২ পয়সা ধরে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৯৭৫ টাকা (মূসকসহ) নির্ধারণ করা হয়। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডার দাম নির্ধারণ করে দেয় ৫৯১ টাকা। এর বাইরে প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৪৭ দশমিক ৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

কমিশনের এই দাম অযৌক্তিক ও একপেশে উল্লেখ করে দাম বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করে লোয়াব। চিঠিতে তারা জানায়, বিইআরসি দর ঘোষণার সময় তাদের অনেক খাতের খরচকে বিবেচনায় আনেনি।

এরমধ্যে রয়েছে অপারেটর প্রফিট ৮৯ টাকা, ডিস্ট্রিবিউশন খরচ ২৫ টাকা। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার প্রফিট যথাক্রমে ২৪ টাকা ও ২৭ টাকা ধরা হয়েছে, এটি বাস্তবসম্মত নয়। ওভারহেড কস্ট ২৩ টাকার স্থলে ১৪৩ টাকা ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট খরচ ৪৮১ টাকার কথা বলেছিল লোয়াব, সেখানে বিইআরসি ১৯৪ টাকা অনুমোদন করেছে। এলপিজি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় ১২ কেজি সিলিন্ডারের ঘোষিত দর ৯৭৫ টাকার সঙ্গে আরও ২৮৭ টাকা যুক্ত করার কথা বলে লোয়াব।

লোয়াবের চিঠির বিপরীতে কমিশন জানায়, লোয়াবের দাবি করা ২৮৭ টাকা যুক্ত করলে ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ২৬২ টাকা। এই দাম যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত হবে না বলে তারা মনে করছে

সাধারণত সৌদি সিপি (কনট্রাক্ট প্রাইস) অনুযায়ী দেশে এলপিজির দাম নির্ধারিত হয়। এই সৌদি সিপির সঙ্গে কমিশন জাহাজ ভাড়া এবং ট্রেডারের প্রিমিয়াম, ইমপোর্ট প্যারিটি প্রাইস, মজুতকরণ ও বোতলজাতকরণ চার্জ, ডিস্ট্রিবিউটর চার্জ (পরিবহন ব্যয়সহ)রিটেইলার চার্জ, মূসক এবং অন্যান্য চার্জ যুক্ত করে দাম নির্ধারণ করেছে।

গত ১২ এপ্রিল দাম ঘোষণার সময় কমিশন জানিয়েছিল, প্রতি মাসের শুরুতে যখন সৌদি সিপির দাম পরিবর্তন হবে, তখন কমিশন এলপিজির দাম পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন করে আদেশ দেবে। তবে এর সঙ্গে চার্জগুলোর কোনও পরিবর্তন হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন