মুজিব বর্ষে ঘর পাচ্ছে আট জেলার ১৭ হাজার পরিবার

বণিক বার্তা ডেস্ক

মুজিব বর্ষে দেশের বিভিন্ন জেলায় গৃহহীনদের ১৬ হাজার ৮৪৭টি ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে রংপুরে ১৩ হাজার ১১০, নওগাঁ সদরে ১১০, বাগেরহাটে ৪১৫, গাজীপুরের শ্রীপুরে ২০, ঢাকার নবাবগঞ্জে ৮০০, পিরোজপুরে হাজার ১৭৫, পঞ্চগড়ে হাজার ৫৭ জয়পুরহাটে ১৬০টি পরিবারকে ঘর উপহার দেয়া হচ্ছে। এসব ঘর আগামী শনিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

রংপুর: বিভাগে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে ১৩ হাজার ১১০টি ভূমি গৃহহীন পরিবার। এর মধ্যে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর পরিবার আছে ৪২০টি এবং বিলুপ্ত ঘোষিত ছিটমহলে বসবাসকারী পরিবার ৮৭টি। এজন্য ব্যয় হবে ২২৪ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। প্রথম পর্যায়ে বিভাগের হাজার ১৯৫টি পরিবারকে বাড়ির চাবিসহ প্রয়োজনীয় দলিল তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বলেন, বিভাগে শুধু শ্রেণীর পরিবার অর্থাৎ ১৩ হাজার ১১০টি ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে মুজিব বর্ষের উপহার দেয়া হবে।

নওগাঁ: জেলার সদর উপজেলায় সরকারিভাবে ১১০টি গৃহ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর দেয়া হবে। এর মধ্যে হাঁপানিয়া ইউনিয়নে ৬৯টি, বক্তারপুরে ১২টি, কীর্ত্তিপুরে ২৩টি, তিলকপুরে ছয়টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। নির্দেশনা বাস্তবায়নে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সব ভূমিহীন গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ- প্রকল্পে গৃহ প্রদানের নীতিমালা করা হয়েছে। যারা একেবারেই গৃহহীন তাদের আমরা বাছাই করার চেষ্টা করেছি।

বাগেরহাট: জেলা প্রশাসক আনম ফয়জুল হক বলেন, প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ৪১৫টি গৃহহীন-ভূমিহীনকে রঙিন টিনের ছাউনি, সেমিপাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ৩১৫টি ঘরের নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছে।

গাজীপুর: জেলার শ্রীপুর উপজেলায় ২০টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১০টি ঘর নির্মাণ শেষে উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে ভূমিহীন গৃহহীন ১০টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা মোস্তারী।

নবাবগঞ্জ: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৮০০ গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এসব ঘরের নির্মাণকাজ এখন শেষের পথে।

বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দীন মনজু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভূমিহীন ঠিকানাহীন নদীভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে, এমন পরিবারগুলোকে ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। ফলে দরিদ্র মানুষরা পাচ্ছে তাদের আপন ঠিকানা।

পিরোজপুর: জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সাতটি উপজেলায় হাজার ১৭৫ জন ভূমি গৃহহীনকে  ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৭৫টি ঘর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, যা আগামী শনিবার হস্তান্তর করা হবে। জেলায় আরো ৮০০ ঘর নির্মাণাধীন। সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. হুমায়ুন কবির, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ফকরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পঞ্চগড়: জেলা প্রশাসক . সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, জেলার পাঁচটি উপজেলায় হাজার ৫৭টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে আগামী শনিবার ৪০০টি ঘর সুবিধাভোগীদের হাতে হস্তান্তর করা হবে। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, এনডিসি মেহেদি হাসান শাওন উপস্থিত ছিলেন।

জয়পুরহাট: জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম জানান, জেলার ১৬০টি পরিচারককে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩৫ দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২৫টি পরিবারের মধ্যে এসব ঘর হস্তান্তর করা হবে। গতকাল দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য জানান তিনি।

সময় স্থানীয় সরকার উপপরিচালক ইশরাত ফারজানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাহাত মান্নান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেজা হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন