পূর্বাচলে হতে পারে কূটনৈতিক জোন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাহিদার বিপরীতে জমি না থাকায় পূর্বাচলে কূটনৈতিক জোন করার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। 

আজ বৃহস্পতিবার সংসদে জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতেই প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় সকল দূতাবাস বা হাইকমিশন অফিস স্থানান্তরের জন্য কয়েকটি দূতাবাস বা হাইকমিশনের জমির চাহিদা রয়েছে। তবে জমির অপ্রতুলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউকসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় চলছে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অদ্যাবধি ১০টি দূতাবাস কর্তৃক প্লটের আবেদন প্রক্রিয়াধীন। বিশেষত ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কুয়েত, মিয়ানমার ও আফগানিস্তান তাদের দূতাবাস স্থাপনের সূচনালগ্ন থেকেই এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। এছাড়া ঢাকায় অবস্থিত ৫০টি কূটনৈতিক মিশনের মধ্যে যারা বরাদ্দপ্রাপ্ত অথবা নিজস্ব ক্রয়কৃত জমি ব্যবহার করছে না, তারাও আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে মর্মে এরই মধ্যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। রাজউক থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে এরই মধ্যেই একটি ডিপ্লোম্যাটিক জোন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রাজধানী শহরে নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান, যার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা শহর চারিদিকে দ্রুতগতিতে প্রসারমান। এদিকে দূতাবাস স্থাপনের জন্য নতুন নতুন চাহিদার বিপরীতে ঢাকার গুলশান ও বারিধারা কূটনৈতিক জোনে পর্যাপ্ত জমির সংকুলান করা অতি দুরুহ। এমাতবস্থায় পূর্বাচলে দূতাবাস স্থাপনের জন্য নির্ধারিত কূটনৈতিক জোন গড়ে তোলা প্রয়োজন হতে পারে।

নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, হাঙ্গেরি সরকার বাংলাদেশে একটি কনস্যুলার অফিস স্থাপনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সম্মতি চেয়েছে।  হাঙ্গেরির আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার দূতাবাস স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

ঢাকা-১১ আসনের এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশীদের অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা মোকাবেলায় আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিদ্যমান বাংলাদেশ মিশনগুলোতে কোন আইন সহায়তা কেন্দ্র/ডেস্ক নেই। তবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের যে কোনো সমস্যা সমাধানকল্পে বাংলাদেশ মিশনগুলো সব ধরনের আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত বাজেটে আলাদা একটা বাজেট কোড রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে উক্ত বাজেট কোডের বিপরীতে আট কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, প্রবাসে জেলে আটকে পড়া কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় পড়া বাংলাদেশীদের সহায়তা করার জন্য দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত চাহিদা মোতাবেক মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ আমি বলতে চাই সম্প্রতি ভারতের কলকাতা ও আসামে আটককৃত বাংলাদেশীদের আইনি সহায়তা দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন