ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা

সচিবালয়ে নতুন ২০তলা ভবনের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সচিবালয়ে নতুন ২০তলা ভবন নির্মাণসহ প্রায় ৬০৮ কোটি টাকার পাঁচটি ক্রয়প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গতকাল ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়াও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতায় গ্রিসের এথেন্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেন্টেনিয়াল স্কুল স্থাপনের জন্য অর্থব্যয়ের ক্ষেত্রে দেশটির স্থানীয় আইন অনুসরণের বিষয়ে দেয়া হয়। সভাটিও অনুষ্ঠিত হয়েছে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল জানান, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদিত পাঁচটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৬০৭ কোটি ৭৪ লাখ হাজার ৫৬৮ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে সংস্থান করা হবে ৫৯৪ কোটি ৭১ লাখ ৮৩৪ টাকা। বাকি ১৩ কোটি লাখ হাজার ৭৩৪ টাকার সংস্থান করা হবে বিশ্বব্যাংকের ঋণ থেকে।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছেআন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন গম ক্রয়। এতে ব্যয় হবে ১৩৮ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার ৮০০ টাকা। ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৩০ হাজার টন ডিজেল ক্রয়। এতে ব্যয় হবে ১০৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। চলতি মাস থেকে আগামী জুনের মধ্যে ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সভায় পল্লী জনপদ নির্মাণ প্রকল্পের তিনটি সাইটের (রংপুর, বগুড়া গোপালগঞ্জ) পূর্ত কাজের জন্য গাজীপুরভিত্তিক বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকার দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সময় ন্যাশনাল হাউজহোল্ড ডাটাবেজ (এনএইচডি) প্রকল্পে (তৃতীয় সংশোধিত) পরামর্শক সেবা বাবদ অতিরিক্ত ১৩ কোটি লাখ হাজার ৭৩৪ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সচিবালয়ে ২০তলা বিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ক্রয় অনুমোদন দেয়া হয়েছে ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার।

এছাড়া অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতায় গ্রিসের এথেন্সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেন্টেনিয়াল স্কুল স্থাপনের অর্থব্যয়ের জন্য পিপিএ-২০০৬-এর ৬৮() এবং পিপিআর-২০০৮-এর বিধি ৭৬ () থেকে অব্যাহতি এবং গ্রিসের স্থানীয় আইন অনুসরণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারিতেই স্বল্পোন্নত দেশের তকমা ছেড়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে আসতে তিনটি সূচকে যে মান অর্জন করতে হয়, তার সবকটিতেই বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু যে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।

সময় তিনি করোনার টিকা প্রসঙ্গে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যাকসিনের মূল্য পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোনো দেশ থেকে বেশি দামে ভ্যাকসিন কিনতে হলে অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা সেটি দ্রুতই করতে পারব। গুণগত মান ঠিক রেখে ভ্যাকসিন কেনার ক্ষেত্রে আমরা যাতে না ঠকি, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।

তিনি বলেন, ভারত ভ্যাকসিন তৈরি করলে তাদের উৎপাদন খরচ কম হবেই। তারা উৎপাদন খরচের সঙ্গে মুনাফা যোগ করেই ভ্যাকসিন বিক্রি করবে। তাদের যে খরচ হবে, সে দামে আমরা পাব; এটা প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না। ভ্যাকসিন আনা কঠিন নয়, সেটি সবার মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করতে পারাটা কঠিন। তবে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করছেন, দেশের সব মানুষই ভ্যাকসিন পাবে। এমনকি যারা খরচ বহন করতে অপারগ, তাদের ভ্যাকসিনের খরচও তিনি দেবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন