বিতরণ বাড়াতে ভোক্তা ঋণের সঞ্চিতিতে বড় ছাড় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

কনজ্যুমার ফাইন্যান্স বা ভোক্তা ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণে ব্যাংকগুলোকে বড় ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতোদিন অশ্রেণীকৃত ভোক্তা ঋণের বিপরীতে (গৃহঋণ ছাড়া) ৫ শতাংশ হারে ব্যাংকগুলোকে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হতো। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, অশ্রেণীকৃত ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করলেই চলবে। 

সঞ্চিতি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ ছাড় পাওয়ায় ব্যাংকগুলো ভোক্তা ঋণ বিতরণ বাড়াতে উত্সাহিত হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

আজ মঙ্গলবার ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি’ বিভাগ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রজ্ঞাপনের কপি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

যে কোনো খাতে ঋণ বিতরণ করলেই নির্ধারিত হারে ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন বা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়। আবার বিতরণকৃত ঋণের মান খারাপ হতে থাকলে শ্রেণী অনুযায়ী সঞ্চিতি সংরক্ষণের হার বাড়তে থাকে। কোনো ঋণ মন্দ মানের খেলাপি হলে ওই ঋণের বিপরীতে ব্যাংককে শতভাগ সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী এতোদিন ভোক্তা ঋণ (যেমন- ব্যক্তিগত ঋণ, গাড়ি কেনার ঋণ) বিতরণ করলেই সংশ্লিষ্ট ঋণের বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হতো। সঞ্চিতি সংরক্ষণের এ উচ্চহারকে দেশে ভোক্তা ঋণের বাজার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক বলে দাবি করে আসছিলেন ব্যাংকাররা। দীর্ঘ দিন থেকে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা ভোক্তা ঋণের সঞ্চিতির হার কমিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ব্যাংকারদের দাবি ও ভোক্তা ঋণের বাজার বৃদ্ধির তাগিদেই এবার সঞ্চিতি সংরক্ষণের হার কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো এখন থেকে অশ্রেণীকৃত ভোক্তা ঋণের বিপরীতে ২ শতাংশ হারে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে পারবে।  তবে ভোক্তা ঋণের অংশ গৃহ ঋণের সঞ্চিতির হার হবে ১ শতাংশ। এছাড়া ক্রেডিট কার্ডের ঋণের বিপরীতে ২ শতাংশ হারে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৫ ধারা দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, তাত্ক্ষণিকভাবে সঞ্চিতি সংরক্ষণের নতুন হার কার্যকর হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন