দেশে কভিড-১৯ সংক্রমিতদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন এ রোগে মৃত্যু হয়েছিল ৩২ জনের। এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ২১৯। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৮৮ জন, যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ১০৬টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২ হাজার ৭৬৯টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৮৬৯টি নমুনা। সব মিলিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৫১টি। এর বিপরীতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো ১ হাজার ৬২৫ জন রোগী। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯৮ জন হয়েছে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখনো অ্যাকটিভ করোনা রোগী রয়েছেন ৮৩ হাজার ১২৬ জন। গেল ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
মৃত ২৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২১ জন এবং নারী পাঁচজন। এ পর্যন্ত মৃত ৫ হাজার ২১৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৩৯ জন; যা শতাংশের হিসাবে ৭৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং নারী রয়েছেন ১ হাজার ১৮০ জন; যা শতাংশের হিসাবে ২২ দশমিক ৬১ শতাংশ। মৃতদের বয়স বিভাজনে বলা হয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী রয়েছেন একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের পাঁচজন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের মারা গেছেন ১৭ জন।
নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশে যে ৫ হাজার ২১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বড় একটি অংশের বয়স ষাটের ওপরে। ষাটোর্ধ্ব ২ হাজার ৬৫৩ জন মারা গেছেন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগেই, ২ হাজার ৬০৭ জন।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অনেক এলাকা। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ৩ কোটি ৩৫ লাখের বেশি লোক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সারা বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের। বাংলাদেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।