নিরাপদ পানি ও মানসম্মত স্যানিটেশন

বিশ্বব্যাংকের ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ঋণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ মানুষের নিরাপদ পানি মানসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিতে বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় হাজার ৭০০ কোটি টাকা। গতকাল শনিবার বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর ঋণ অনুমোদন দেয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়। ঋণ শতাংশ সুদে ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে।

বাংলাদেশ রুরাল ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন ফর হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ছয় লাখ মানুষের জন্য বড় ছোট পাইপবাহিত নিরাপদ পরিষ্কার পানি নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলের ৩৬ লাখেরও বেশি মানুষের স্যানিটেশন ব্যবস্থায় উন্নতি আনতে সাহায্য করবে প্রকল্প।

বাড়ি জনসমাগমস্থলে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে এবং মানুষকে সঠিকভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে প্রকল্প আসলে বিভিন্ন রোগব্যাধি কভিড-১৯ মহামারীর মতো সংক্রামক রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব রুখতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন নিয়ে বলেন, সবার জন্য মৌলিক পানির চাহিদা পূরণ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ না করার ব্যাপারে দারুণ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। যদিও পানির মান স্যানিটেশন এবং নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন মানবসম্পদের মধ্যে যোগসূত্রটা এখনো বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। প্রকল্প পরিষ্কার পানি স্যানিটেশন সুবিধা দেবে, যা উদরাময় রোগ কমাবে, পুষ্টি স্বাস্থ্যে উন্নতি আনবে এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বেড়ে না ওঠার সমস্যাও কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এটা দেশে দারিদ্র্য কমিয়ে এনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেবে।

বাজার, বাসস্টেশন কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো জনাকীর্ণ জায়গাগুলোয় অন্তত হাজার ৫১৪টি হ্যান্ডওয়াশিং স্টেশন তৈরি করবে প্রকল্প, যেখানে ট্যাংক কলের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা থাকবে এবং থাকবে সাবানের ব্যবস্থাও। স্টেশনগুলোয় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্যানিটেশন সুবিধাও থাকবে।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পানি বিশেষজ্ঞ প্রকল্পের প্রধান রোকেয়া আহমেদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। রুক্ষ আবহাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাবার পানির মান সহজলভ্যতা কমার মাধ্যমে দেশের ওয়াশিং সেক্টরকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। জলবায়ুসহিষ্ণু পানি স্যানিটেশন সুবিধা গড়ে তুলতে এবং উপরিভাগের ভূগর্ভস্থ পানির দূষণ রোধেও প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মহামারী কভিড-১৯ সংক্রমণ সামনে রেখে প্রকল্পে দরিদ্রদের আচরণ পরিবর্তনে ৩৯ কোটি ৬৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয় করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শ সেবা গ্রহণের জন্য খরচ করা হবে ২৬ কোটি ৯৭ লাখ ১২ হাজার, হাত ধোয়া স্টেশন স্থাপনের জন্য খরচ করা হবে ২৮ কোটি ৫০ লাখ এবং বিদেশ সফরের জন্য খরচ করা হবে কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন