সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিউ মেক্সিকোর সফলতার নেপথ্যে

বণিক বার্তা ডেস্ক

নিউ মেক্সিকোয় একটি কৌতুক প্রচলিত আছে, বাকি আমেরিকা জানেই না যে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অংশ। গ্রীষ্মে কভিড-১৯-এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর সত্যিকার অর্থেই নিউ মেক্সিকো বেশ আলাদা হয়ে ওঠে। যখন পাশের দুটি রাজ্য অ্যারিজোনা টেক্সাস তাদের কার্যক্রম ব্যবসায়িক বিধিনিষেধ আলগা করে, তখন সেখানে কভিড-১৯-এর সংক্রমণ বেশ উদ্বেগের সঙ্গে বাড়তে শুরু করে। অন্যদিকে তখনো সংক্রমণের বিস্তৃতির কারণে নিউ মেক্সিকো তাদের কঠোর পদক্ষেপগুলো অব্যাহত রাখে। এখন এসে নিউ মেক্সিকোর তুলনায় প্রতি এক লাখ মানুষের হিসাবে অ্যারিজোনার সংক্রমণ দ্বিগুণের বেশি এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। একইভাবে টেক্সাসের তুলনায়ও ভালো অবস্থানে আছে নিউ মেক্সিকো।

মহামারীকে লক্ষ্য করে নিউ মেক্সিকোর গভর্নর মিচেল লুজান গ্রিশাম বেশ আগ্রাসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন ১১ মার্চ, ওই দিনই প্রথম রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর দুদিন পর তিনি স্কুল বন্ধ করে দেন এবং দ্রুততার সঙ্গে জনস্বাস্থ্য আদেশ জারি করেন, যেখানে জনসমাবেশ সীমিত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সে সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ করে দেন। মহামারীতে নিউ মেক্সিকো জনসাধারণের জন্য বিস্তৃতভাবে ভাইরাসের টেস্টিং প্রোগ্রাম শুরু করে বিস্তার কমানোর লক্ষ্যে। যেখানে এখনো অনেক রাজ্যে টেস্ট করা সহজলভ্য নয়। এরপর ১৬ মে এসে রাজ্যে মাস্ক পরার বিধান জারি করা হয়। জুনে এসে রেস্টুরেন্টগুলোকে কেবল ইনডোর ডায়নিং খোলার অনুমতি দেয়া হয় এবং ধারণক্ষমতাও সীমিত করে দেয়া হয়। কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে এসে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়। সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিউ মেক্সিকোর সব নাগরিককে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, কল্যাণের লক্ষ্যে বাসায় থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। কার্যকলাপ একটি শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য বার্তা নিয়ে এসেছে, যা ব্যাখ্যা করে কীভাবে রোগের বিস্তৃতি কমাতে হয়।

নিউ মেক্সিকোর টেস্টের ফলাফলগুলোতে রোগের হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি লক্ষ করা যায়। রাজ্যের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিদিন পাঁচ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করা এবং শতাংশ বা তার কম হারে পজিটিভ ফল নিয়ে আসা (এমন একটি মেট্রিক যা ভাইরাল সংক্রমণের পরিমাণ প্রতিফলিত করে) ১১ সেপ্টেম্বর এসে দুটি হিসাবে সাতদিনের গড় ছিল প্রতিদিন হাজার ৮৯৬ টেস্ট এবং . শতাংশ পজিটিভিটি রেট। যেখানে একই সময়ে অ্যারিজোনা টেক্সাসের পজিটিভিটির হার ছিল যথাক্রমে . শতাংশ।

সংখ্যাগুলোর পাশাপাশি মৃত্যুহারও বেশ কম ছিল, যা আমাদের সামনে তুলে ধরে নিউ মেক্সিকো রাজ্যের অধিকর্তারা সংক্রমণ মোকাবেলায় সর্বশেষ কয়েক মাসে কী কী করেছেন।  ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের নির্বাহী পরিচালক লাউরেন অ্যানচেল মেয়েরস বলেন, মে জুন মাসে তারা যা- করুক না কেন দেখা যাচ্ছে তা টেক্সাস অন্য অনেক রাজ্যের চেয়ে বেশ ভালো কাজ করেছে।

সায়েন্টিফিক আমেরিকান থেকে সংক্ষেপে অনূদিত

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন