সিরিঞ্জের অপ্রতুলতা ভ্যাকসিন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বছরে গড়ে ৬৬৩ মিলিয়ন সিরিঞ্জ উৎপাদন করে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন হিসাব করে দেখেছে তাদের এর বাইরে আরো ৮৫০ মিলিয়ন সিরিঞ্জ প্রয়োজন হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার এরই মধ্যে সিরিঞ্জের সংকট যেন না হয় সেজন্য কয়েকশ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ফেলেছে। কভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি হলে তা সরবরাহে যেন সিরিঞ্জের ঘাটতি না হয়, তাই খরচ।

বছরে শীতকালে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন অনুমোদন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু সিরিঞ্জ উৎপাদনকারী বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন মহামারী নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন সরবরাহে যে পরিমাণ সিরিঞ্জ দরকার হবে তা হয়তো উৎপাদন করা সম্ভব হবে না।

আশঙ্কা করা হচ্ছে সিরিঞ্জ সংকট প্রকট রূপ নেবে ভ্যাকসিনেশনের প্রথম পর্যায়ে নয়, বরং ২০২১ সালে দ্বিতীয় তৃতীয় পর্বের ভ্যাকসিনেশনের সময়। সে সময় শুধু যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা মেটাতেই কোম্পানিগুলোকে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ সিরিঞ্জ উৎপাদন করতে হবে।

সিরিঞ্জ উৎপাদনকারী কোম্পানি বেক্টন, ডিকিনসন অ্যান্ড কো.-এর মুখপাত্র ট্রয় কার্কপ্যাট্রিক বলেছেন, আমার দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোকে বলছি যে আপনারা যদি কভিডের ভ্যাকসিনেশন করতে চান তাহলে ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় না থেকে এখনই সিরিঞ্জের অর্ডার দিন। উল্লেখ্য এই বেক্টন, ডিকিনসন অ্যান্ড কো. দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সিরিঞ্জ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর যে পরিমাণ সিরিঞ্জ ব্যবহূত হয় তার অর্ধেকই উৎপাদন করে কোম্পানি। তারা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কানাডার সরকারের জন্য ৪৭০ মিলিয়ন সিরিঞ্জ উৎপাদনের জন্য চুক্তি করেছে।

দ্য গার্ডিয়ান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন