অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি; ১০ লাখ টাকা দাবিতে জিম্মি করে আটদিন আটকে রেখে নির্যাতনের পর অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটক করে র্যাব। এ ঘটনায় জমিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলাও হয়। কিন্তু ঘটনার মাত্র চারদিনের মাথায় আসামি জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় যশোরের আদালত অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শার্শা থানায় দায়েরকৃত ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন বলেন, মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন ছিল। যদিও ৪ আগস্ট শুনানি শেষে যশোর ভার্চুয়াল আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক আসামি খালিদ হাসান শান্টুর জামিন প্রদান করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রের পাবলিক প্রসিকিউটর, সরকারের না। অনেক সময় আমার কথা আসামির পক্ষে যেতেও পারে। কারণ আমি রাষ্ট্রের, আমি সবার। তবে আমি যথার্থ কথা বলেছি কিনা এটাই বিবেচ্য।’
সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম পিটু বলেন, ওই মামলার ৩০৭, ৩৮৫ ও ৩৮৭ জামিন অযোগ্য ধারা। রাষ্ট্রপক্ষের দায়িত্ব হচ্ছে মামলায় বাদী ও ভিকটিমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দেয়া। এরপর আদালত বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন।