সাধারণ ও টেকনিক্যাল ক্যাডার থাকাই যথেষ্ট নয় কি?

মাছুম বিল্লাহ

আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু আমাদের কিছু কিছু প্রশাসন এখনও সেই ঔপনেবিশক আমলের। যেমন ডেপুটি কমিশনার- এটি ঔপনেবিশেকেই প্রতীক। এটি এখনও এ অবস্থায় থাকা কতটা জরুরি? তাই প্রশ্ন উঠেছে এ ধরনের ক্যাডার রাখার প্রয়োজন আছে কিনা, নাকি শুধু দুটি ক্যাডারই যথেষ্ট; একটি সাধারণ ও অপরটি টেকনিক্যাল। 

সর্বশেষ বিবিএস পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, পররাষ্ট্র ক্যাডারের জন্য ২৫ জন প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে ২০ জনই ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার। ১৩ জন ইঞ্জিনিয়ার যাদের মধ্যে ১০ জনই বুয়েটের আর ৭ জন ডাক্তার। প্রশ্ন হচ্ছে বিসিএস-এর এই পররাষ্ট্র ক্যাডোরে ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ারদেরই যেতে হয় তাহলে তারা এতবছর বসে মেডিকেল কেন পড়েছেন, কেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন? আর বিসিএস-এ ক্যাডার চয়েসের একমাত্র উপায়ই কি নম্বর? এখানেই তো বিরাট সমস্যা রয়ে গেছে। আর একদিক থেকে বলা যায় যে, এসব প্রকৌশলি ও ডাক্তাররা যেহেতু মেধাবী এবং মেধার প্রমাণ ইতিমধ্যে রেখেছেন তারা পররাষ্ট্র ক্যাডারের মতো একটি লুক্রেটিভ ক্যাডারে কেন যাবেন না? কিন্তু পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে কাজ তাতে তাদের ডাক্তারি বিদ্যা ও প্রকৌশলি বিদ্যা কোনটিই তো কোন কাজে লাগবে না। 

৩৮তম বিসিএস পরীক্ষায় সাধারণ ক্যাডারে ১৩২০ জন প্রকৌশলি সাধারণ বিষয়ের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে কিংবা টপকে জায়গা করে নিযেছেন। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা অ্যাকাউন্টিং পড়া একজন জেনারেলিস্ট হওয়ার কারণ কি? যতটা মনে পড়ে ১২তম বিসিএস ছিল বিশেষ পুলিশ ক্যাডার এবং সেখানে নাকি সবাই কৃষিবিদ। কৃষিবিদরা হয়েছেন পুলিশ অফিসার!

ক্যাডার সার্ভিসে সম্ভবত এখন ২৯টি ক্যাডার আছে। এগুলোর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই নিজেদের একটু আলাদা মনে করেন। এটি কীভাবে হলো? ব্রিটিশ আমলে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন এরা সবাই ছিল ব্রিটিশ এবং এম ফস্টারের ‘অ্য প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া উপন্যাসে’ দেখা যায় এরা ভারতীয়দের প্রজা হিসেবে দেখতো। ব্রিটিশ আমলে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন এরা সবাই ছিল ব্রিটিশ এবং ভিন্ন দেশে, ভিন্ন কালচারে এসে এই ধরনের পদ, পদবী ও প্রশাসন প্রয়োজন ছিল। এম ফস্টারের উপন্যাসটিতে দেখা যায় এরা ভারতীয়দের প্রজা হিসেবে দেখতেন। তাদের ধারণা ছিল একজন ব্রিটিশ ডিএম বা সিভিল সার্জনকে দেখামাত্র ভারতীয়দের মাটির গর্তের লুকিয়ে থাকা উচিত অর্থাৎ প্রশাসনে যারা আছেন জনগণের সাথে তাদের আকাশসম পার্থক্য থাকবে। বর্তমান কালেও দেখা যায় ডিসিরা সরকারের প্রতিনিধি, তারা রাষ্ট্রের নয়, জনগণের নয়। তারা এখানে ব্রিটিশ রাজের সেই কৌশল টিকিয়ে রেখেছেন। কি সানন্দ্যে অযথাই ‘স্যার, স্যার, স্যার, স্যার’। অপ্রয়োজনেও বহুবার ‘স্যার’ শব্দটি উচ্চারণ করেন। এটি কি শুধু সম্মান দেখানোর  জন্য? বিষয়টি তা নয় ব্রিটিশদের মতো মনে হচেছ, অযথাই চার, পাঁচ কিংবা তারও বেশিবার ‘স্যার’ বলা। 

তারা এভাবে ‘স্যার’ বলতে যেমন মজা পান, তেমনি অন্যরাও তাদেরকে এভাবে বলুক তাই তারা চান। অন্য ক্যাডারে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, স্যার বলেন, কিন্তু এ রকম অযথা একবারে চার পাঁচবার বলেন না। সিনিয়রকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। জুনিয়রকে স্নেহ করতে হবে। কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে জনগণের সেবার মান বাড়ানো।

দেশে উচ্চশিক্ষা শেষে সব ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরাই ভাল একটি কাজ চান- সেটিতে যেমন থাকতে হবে অর্থ তেমনি সম্মান, দাপট ও প্রতিপত্তি। বর্তমান সরকার সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দ্বিগুণ কিংবা তারও বেশি করায়। আর সরকারি চাকরিতে যেহেতু নিরাপত্তা আছে অর্থাৎ আপনি যাই করুন না কেন আপনার চাকরি ঠিক থাকবে। যেটি বেসরকারি কিংবা কর্পোরেট চাকরিতে সম্ভব নয়। তাই সবারই আগ্রহ থাকে সরকারি চাকরি গ্রহণ করার। সেটি যে পর্যায়েরই হোক। আর প্রথম শ্রেণির ক্ষেত্রে তো বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের দিকেই সবার নজর থাকবে। সকল ক্যাডারই দেশের জন্য, জনগণের জন্য। কিন্তু দেখা যায় প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্র ক্যাডারে সবার অসীম আগ্রহ। আর এসব ক্যাডারে আসছেন কৃষিবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলি যারা  বিশেষায়তি বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন বিশেষ উদ্দেশ্যে সাধনের জন্য, সেটি আর হচ্ছে না।

এদিক দিয়ে সেনাবাহিনী বেশ স্মার্ট। তারা উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পরই প্রশিক্ষণে আহ্বান করেন। বিসিএসের মতো এত সময় নষ্ট করে অর্থাৎ ৬-৭ বছর বসে অনার্স পাস করে, আবার কেউ কেউ আরও এক দুবছর বসে মাস্টার্স করেন। তারপর বিসিএসে বসেন। কী প্রয়োজন তাহলে এসবের?

গ্রেডিং পদ্ধতি শুরুর আগে বোর্ডে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের ছবি, তাদের পরিচয়, তাদের ফলাফলের পেছনে কে কারা বেশি অবদান রেখেছেন, তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও তারা জীবনে কে কী হতে চান ইত্যাদি বিষয়গুলো দেশের সংবাদপত্রগুলোতে  ফলাও করে প্রচার করা হতো। এই বিষয়টি এখন আর নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম বা দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীরা, অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা চিনতেন, তাদের সাথে কথা বলতেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কেউ চেনেন না, তাদের নিয়ে কেউ কথাও বলেন না। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে চেনেন ‘বড় ভাইদের’, যারা ক্যাম্পাসে একা চলেন না। তাদের সাথে থাকে ‘কর্মী বাহিনী’। তারা কতগুলো গুণের অধিকারী। একটি হচ্ছে ওনারা ক্লাস করেন না, পড়াশোনা করেন না, ক্যান্টিনে ফ্রি খান। ওনাদের নির্দেশে যে কোন ছাত্র কিংবা শিক্ষক যে কোন সময় হেনস্থার শিকার হতে পারেন। ওনাদের শিক্ষকরাও ভয় পান কারণ তাদের ওঠাবসা অনেক ওপরের লেভেলে। ভিসিও তাদের সমীহ করে চলেন।

এভাবে সমাজের চূড়ান্ত অবক্ষয়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছি আমরা। আপনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন, এখন বিদেশী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন, গবেষণা করছেন, আন্তর্জাতিক জার্নালে আপনার গবেষণাপত্র নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। আপনার গবেষণা অনেক দেশের কোম্পানি, সরকার ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনার দেশে আপনাকে কেই চিনেন না, মূল্যায়ন করেন না। তারা দেখেন কে কে এমপি হয়েছেন, কে  সহকারী পুলিশ সুপার হয়েছেন, সহকারী কমিশনার কিংবা মেজিস্ট্রেট হয়েছেন। এসব পদে চাকরি করলে দাপট আছে, সরকারি অনেক সুবিধা ভোগ করা যায়। পররাষ্ট্র ক্যাডারের বড় সুবিধা হলো আপনার পোস্টিং কোন এক সময় বিদেশে হবে, উন্নত বিশ্বেও হতে পারে। তাই এই ক্যাডারের প্রতি আগ্রহ তো অনেকের থাকবেই।

ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার এবং কৃষিবিদগণ স্বভাবতই গণিত ও বিজ্ঞানে ভাল থাকেন। যেসব পরীক্ষায় এই বিষয়গুলো অন্তুর্ভুক্ত থাকে সেগুলোতে তারা ভাল করবেন, ওপরের দিকে থাকবেন এটিই স্বাভাবিক। বিসিএস পরীক্ষায় যে অদ্ভূত সব নিয়ম-কানুন তাতে তারা তো ভাল করবেনই। তারা বিশেষায়িত বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন কিন্তু সমাজ বা দেশে তারা সেভাবে মূল্যায়িত হচ্ছেন না যেভাবে হচ্ছেন একজন মেজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক বা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিবরা। স্বাস্থ্য বিভাগে দেখা যায় একজন ক্যাডার ডাক্তার সর্বোচ্চ একটি পদ দখল করতে পারেন আর সেটি হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি কিন্তু মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব কিংবা সচিব হচেছননা। সেখানে প্রশাসন ক্যাডার থেকেই সচিব হচ্ছেন। জেলা পর্যায়ে ডিসিদের সাথে মন্ত্রণালয় থেকে সচিব মন্ত্রীরা সব বিষয়ে যোগাযোগ করেন, তারই সমাপর্যায়ে যেসব কর্মকর্তা জেলায় থাকেন তাদের সাথে মন্ত্রণালয় সেভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে না। সব খবর ডিসির মাধ্যমেই নেন। ফলে ডিসিও সেভাবে জেলার অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে আচরণ করেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই রকম ব্রিটিশদের তৈরি করা একটি পদ এখনও কি প্রয়োজন আছে? 

হ্যাঁ, একজনের কাছ থেকেই সবকিছুর খোঁজখবর নিলে সুবিধা  হয়, তাহলে সেই পোস্টটি একধাপ উপরের হতে হবে। অর্থাৎ যেসব জেলায় অন্যান্য কমকর্তা ডেপুটি সেক্রেটারি লেভেলের সেখানকার ডিসিকে যুগ্ম সচিব লেভেলের করা উচিত। আর এই পদটি শুধুমাত্র প্রশাসন ক্যাডার থেকে না নিয়ে সব ক্যাডার থেকেই করা উচিত। একইভাবে মন্ত্রনালয়ের পদ পদবীগুলোর ক্ষেত্রে তাই করা উচিত অর্থাৎ একজন ইঞ্জিনিয়ার  তার ক্যাডার থেকেই প্রমোশন পেয়ে পেয়ে একদিন সচিব হবেন, ডাক্তারদের ক্ষেত্রেও একই কথা। শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও একই কথা। তাহলে ক্যাডারের মধ্যে এই ধরনের অসম প্রতিযোগিতা আর ধাক্কাধাক্কি থাকবে না। একজন প্রকৌশলী যদি সচিব হন তাহলে তার মন্ত্রণালযের সব কাজ তিনি চমৎকারভাবে করতে পারবেন। জেলা পর্যায়ে একজন শিক্ষা কর্মকর্তা আছেন। কিন্তু যখন কোন পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় তখন তাঁর কোন খোঁজখবর নেই। পরীক্ষার সার্বিক নিয়ন্ত্রণে থাকেন ডিসি। মন্ত্রণালয় থেকে তার সাথেই সব যোগাযোগ করা হয়। বড় বড় অনেক জেলায় এখন একজন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রয়েছেন ( শিক্ষা) যিনি শিক্ষা প্রশাসন বিষয়টি দেখেন। অর্থাৎ প্রশাসন ক্যাডার থেকে না এলে যেন ওই কাজটি আর কেউ করতেই পারবেন না।

একইভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে, অধিদপ্তর সেখানকার উপরের দিকের প্রায় সব পদই প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দখলে। তারা না হলে যেন প্রাথমিক শিক্ষা চলবেই না। প্রশ্ন হচেছ প্রশাসন ক্যাডারে এমন কি আছে যে, তারা ছাড়া ফাইল চালাচালি করা, কাজের সমন্বয় করা, ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করার কাজ আর কেউ পারবেন না? সব ক্যাডারেরই তো প্রশাসন আছে, তারা যখন বিভাগ এবং অধিদপ্তর পর্যন্ত প্রশাসন চালাতে পারছেন, মন্ত্রালয়েরটিও পারবেন। প্রয়োজন হলে মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ পদটিতে যাওয়ার আগে কিছুদিন পিএটিসিতে প্রশিক্ষণ করিয়ে নিলেই তো হলো। যারা দেশের উন্নয়ন মূলক কাজের সমন্বয় করবেন তাদের প্রশাসকই হতে হবে কেন?

শিক্ষার্থীরা এখন বিসিএস প্রস্তুতি নেওযার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে আসেন। কি পড়েন তারা সেখানে? নীলক্ষেত থেকে গাইড বই নিয়ে এসে সেগুলো পড়েন। অথচ জ্ঞানের রাজ্যে ঢুকে জ্ঞানের সাধনা করেন না। বহু লেখকের বহু দর্শন, ধ্যান, মতবাদ, ইতিহাস, থিউরি ভর্তি হয়ে আছে বহু বইয়ে কিন্তু তাদের সেগুলো টাচ করার সময় নেই। কোন দেশের মুদ্রার নাম কি? জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কে? ইত্যাদি পড়ছেন। আর যারা আরও চতুর তারা প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েই একটি বা দুটি গাইড কিনে ফেলেন। 

গাইডবইদুটো সুন্দর করে যত্ন সহকারে পুরো শিক্ষাজীবনে পড়তে থাকেন বিষয়ের বইয়ের চেয়ে বেশি যত্নসহকারে। তারা বিষয়ের পড়ার গভীরে যান না। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া কিছু নোট পরীক্ষার আগে পড়ে ফেলেন কেউ কেউ কারণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি সার্টিফিকেট নিতে হবে, চাকরি যোগাড় করার বিষয়ের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। বিষয়টিতো আসলে তাই। পুরো দোষ আমরা শিক্ষার্থীদের দিতে পারছিনা।  তারা তো চাকরির চেষ্টা করবেনই এবং যে চাকরিটিতে মান মর্যাদা, প্রভাব প্রতিপত্তি আছে, দেশের মানুষ যেটিকে মূল্যায়ন করেন তারা তো সেদিকেই ঝুঁকবেনই। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল আর আমাদের স্বার্ধীনতার পর অর্ধশতক বছর পার হচেছ হচেছ কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কোন পরিবর্তন কেন আনতে পারিনি সেটি আমাদের সম্মিলিত দুর্বলতা, সম্মিলিত ব্যর্থতা। আমরাতো এসব ভুলের এবং ব্যর্থতার মাশুল দিয়েই চলছি। এভাবেই কি চলবে?

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন