ডিএনসিসির ‘চিরুনি অভিযানের’ প্রথম দিনে ৯১ স্থাপনায় মিললো এডিসের লার্ভা

বণিক বার্তা অনলাইন

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ দিনব্যপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে  ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। মেয়র আতিকুল এ অভিযানকে ‘চিরুনি অভিযান’ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শনিবার অভিযানের প্রথম দিনে ৯১টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। এসব বাড়ি বা স্থাপনাকে ১২টি মামলায় মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে গত ৬ থেকে ১৫ জুন প্রথম পর্যায়ের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায় ডিএনসিসি। আজ ৭ জুলাই থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে অভিযান সফল করতে গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় মেয়র মহোদয়ের সভাপতিত্বে একটি অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান, উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ববিদগণ অংশগ্রহণ করেন। ডিএনসিসি মেয়র এবার চিরুনি অভিযান চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত আরও জোরদার করার নির্দেশ প্রদান করেন। যেসব ক্ষেত্রে ভবন বা স্থাপনার মালিক পাওয়া যাবে না, সেসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিয়মিত মামলা করা হবে।  

আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আজ মোট ১২ হাজার ৬১৯ টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৯১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৭৬৪টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে ১২টি মামলায় মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। 

দ্বিতীয় ধাপে অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে এবারও প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। চিরুনি অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৬জন চিকিৎসক, ৯ জন কীটতত্ববিদ, ডিএনসিসির ৩ জন কীটতত্ববিদ এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন। দীর্ঘমেয়াদি আধুনিক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসাবে গতবারের মত এবারও এডিসের লার্ভা প্রাপ্তির স্থানসমূহ এবং প্রজনন উপযোগী পরিবেশসমূহের তথ্য অ্যাপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ের অভিযানে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৫টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ৬০১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮৯ হাজার ৬২৬টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোট ২১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন