চাঙ্গা ভাবের মধ্য দিয়ে ২০১৯ সাল শেষ করেছিল ভিয়েতনামের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি খাত। চলতি বছরের শুরু থেকেও দেশটির জ্বালানি তেল রফতানিতে একই চিত্র বজায় রয়েছে। বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে) দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৮ শতাংশ বেড়ে ২২ লাখ টনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তবে রফতানি বাড়লেও এ সময় জ্বালানি পণ্যটি রফতানি করে দেশটির আয় কমেছে প্রায় ২৩ শতাংশ। ভিয়েতনামের জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিসের (জিএসও) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও বিজনেস রেকর্ডার।
জিএসওর সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মে সময়ে ভিয়েতনাম থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ২১ লাখ ৮৫ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
বছরের প্রথম পাঁচ মাসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করে ভিয়েতনামিজ রফতানিকারকরা সব মিলিয়ে ৬৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার আয় করেছেন। এক বছরের ব্যবধানে জ্বালানি পণ্যটির রফতানি বাবদ দেশটির আয় কমেছে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে রেকর্ড দরপতনের কারণে বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভিয়েতনাম থেকে রফতানি বাড়লেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করে দেশটির আয় আগের তুলনায় কমে গেছে।
এদিকে রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানিও বাড়িয়েছে ভিয়েতনাম। জিএসওর সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মে সময়ে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভিয়েতনামিজ আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছেন। এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
বছরের প্রথম পাঁচ মাসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ ভিয়েতনামিজ আমদানিকারকদের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৯৬ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
