এশিয়ায় বাজারে ফের নিম্নমুখী দাম

বণিক বার্তা ডেস্ক

এশিয়ার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি বাজারে মন্দা ভাব পিছু ছাড়ছে না। সর্বশেষ সপ্তাহে ফের জ্বালানি পণ্যটির দাম কমেছে। ইউরোপীয় ইইউনিয়নের (ইইউ) দুর্বল বাজার পরিস্থিতির বিপরীতে বিশ্ববাজারে এলএনজির উদ্বৃত্ত সরবরাহ এর পেছনে মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স।

চলতি সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় আগামী জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (প্রতি ঘনফুটে হাজার ৩৬ ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজির গড় দাম দাঁড়াতে পারে ডলার ৮৫ সেন্টে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক সেন্ট কম।

সময়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাশিয়ার শাখালিন--এর পক্ষ থেকে আগামী জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিতে একটি এলএনজিবাহী কার্গো অফার করতে দেখা গেছে। এছাড়া এঙ্গোলা এলএনজির পক্ষ থেকে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরবরাহ চুক্তিতে কার্গো অফার করতে দেখা গেছে। একই সময়ে পাপুয়া নিউগিনি এলএনজি জুনে সরবরাহ চুক্তিতে একটি এলএনজিবাহী কার্গোর বিক্রি অফার করেছে। অস্ট্রেলিয়ার উডসাইড পেট্রোলিয়াম জুনে সরবরাহ চুক্তিতে একটি কার্গো বিক্রির অফার করেছে, যার প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ডলার ৮৫ সেন্ট।

এদিকে নভেল কনোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন চলমান থাকায় শিল্প খাতগুলোয় এলএনজির চাহিদা কমে গেছে। চাহিদা কমায় চলতি সপ্তাহে জ্বালানি পণ্যটির ক্রেতার সংখ্যাও রয়েছে কমতির দিকে।

চীনে জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। দেশটির গুয়াংঝু কোম্পানিকে আগামী আগস্ট সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে দুটি এলএনজীবাহী কার্গো খুঁজতে দেখা গেছে। এছাড়া থাইল্যান্ডের পিটিআই জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিতে একটি কার্গো ক্রয়ের জন্য খোঁজ করেছিল। সময়ে মেক্সিকোর সিএফই জুনে সরবরাহ চুক্তিতে দুটি কার্গো পর্তুগালের ইডিপি জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে সরবরাহ চুক্তিতে একটি কার্গোর খোঁজ করেছিল।

অন্যদিকে মে মাসে মালয়েশিয়া থেকে এলএনজি রফতানি কমে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে সর্বনিম্নে নেমেছে। দামের রেকর্ড পতনে বিশ্বব্যাপী এলএনজি উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো আর্থিক ক্ষতি এড়াতে পণ্যটির উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি মালয়েশিয়া থেকে পণ্যটির রফতানি হ্রাসে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন