খুলনায় অ্যালকোহল পানে দুজনের মৃত্যু

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, খুলনা

খুলনা মহানগরীতে অ্যালকোহল পানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা হরিজন কলোনীর বাবু লাল দাসের ছেলে অরুন দাস (৬০) ও কেলে দাসের ছেলে নীলা দাস (৬২)। সোমবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, করোনার মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কীভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় ঘটে তা জানার জন্য অনুসন্ধান চলছে।

খুলনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক হাওলাদার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর কোন হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে তারা অ্যালকোহল জাতীয় কিছু দ্রব্য সংগ্রহ ও পান করে তাদের মৃত্যু তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। আমারা এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। অবৈধভাবে কোন হোমিওপ্যাথি দোকান ওই সব অ্যালকোহল বিক্রি করে তদন্ত করা হচ্ছে। শনাক্ত করার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, করোনায় দেশের লকডাউন ঘোষণার পর থেকে খুলনায় দেশি মদ ও কেরু কোম্পানির মদ বিক্রির লাইসেন্সকৃত দোকানগুলোকে বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে অরুন দাস ও নীলা দাস অ্যালকোহল কিনে পান করেন। এদের মধ্যে অরুন দাস সোমবার দুপুরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় নীলা দাসকে প্রথমে শিবসা নার্সিং হোমে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকেও খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তিনিও মারা যান। ময়না তদন্তের জন্য তাদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. অনল রায় জানান, অ্যালকোহল পানে অরুন দাস ও নীলা দাস নামে দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা কোন হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ এ্যালকোহল খেয়েছিলো বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ও ৯ অক্টোবর খুলনায় পৃথকভাবে মদ পানের মাধ্যমে উৎসব করার পর ২ ভাইসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন