চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের নতুন সময়সূচি করতে
আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে। গতকাল ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল-২০২০’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত
যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর পাশপাশি সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়। বিলে
হালনাগাদ কার্যক্রমের সময় ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬০ দিন করা হয়েছে।
২০ জানুয়ারি বিলটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল
হক। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত
সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এতে বিদ্যমান আইনের একটি ধারার আংশিক সংশোধনের
প্রস্তাব করা হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বিদ্যমান ২ থেকে ৩০ জানুয়ারির
স্থলে ২ মার্চ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী
বলেন,
প্রতি বছর ২-৩১ জানুয়ারির মধ্যে খসড়া হালনাগাদ ভোটার তালিকা চূড়ান্ত ডাটাবেজে
অন্তর্ভুক্ত করে সারা দেশে সিডি আকারে তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য। তাই জাতীয় ভোটার
দিবসের সঙ্গে মিল রেখে ২ মার্চ পর্যন্ত এ সময়সীমা বৃদ্ধির কথা জানান মন্ত্রী।
জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে
বিএনপিদলীয় সদস্য হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারাহানা চলমান নির্বাচন প্রক্রিয়ার কঠোর
সমালোচনা করেন। হারুনুর রশীদ বলেন, দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া কি এভাবেই চলতে থাকবে? ঢাকার সিটি নির্বাচনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রীতিমতো যুদ্ধ চলছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নীরব, প্রশাসন নীরব। এভাবে চলতে
থাকলে আইন প্রণয়ন করে কি হবে।
বিএনপির সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপির মুখে এ ধরনের কথাই
মানায়। কারণ তাদের ভোট করার অভ্যাস নেই। তারা ক্ষমতা দখল করে হ্যাঁ-না ভোট করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তারা ভোটারবিহীন নির্বাচনের আয়োজন
করেছিলেন।